ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অস্ট্রিয়ার ক্ষমতাসীন দল অস্ট্রিলিয়ান পিপলস পার্টি ফিলিস্তিনি মুসলিম সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়ার কারণে তাঁর এক সক্রিয় সদস্যকে দলটি থেকে বহিষ্কার করেছে।
দলটির সদস্য, অস্ট্রিলিয়ান নাগরিক রেসুল ইগিত (Resul Yigit) সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সমর্থনে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।
রেসুল বিগত বছরগুলোতে অস্ট্রিয়ান প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জের অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির সক্রিয় কর্মী ছিলেন কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনি পতাকা ও “ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই” লিখে পোস্ট দেয়ার কারণে দলটি থেকে তাঁর সদস্যপদ হারাতে হলো।
রেসুল আনাদোলু এজেন্সীকে বলেন,”কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি রাষ্ট্রের সরকারি অফিসে অন্য দেশের পতাকা ঝুলিয়ে সেদেশের পক্ষে স্লোগান দিতে পারেন, তবে আমি ভেবেছিলাম রাজনীতিবিদ ও জনগণ উভয়ই তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী মতামত প্রকাশ করতে সক্ষম হবেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমার বেলায় তা হয়নি।”
রেসুল আরো জানান, তিনি গত ১৪, মে শুক্রবার তাঁর ব্যক্তিগত ফেইসবুক প্রোফাইলে ফিলিস্তিনের পতাকা ও “ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই” লিখে ছবি আপলোড করেছিলেন। পরে অস্টিলিয়ার ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি অব অস্টিলিয়ার এক সংসদ সদস্য তাঁর পোস্টটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জকে জ্বালাতন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার করা পোস্টের আনুমানিক দেড় ঘন্টা পর, আমি দল থেকে ফোন কল পাই। আমায় বলা হয় দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের অন্যান্য সহকর্মীরা জানায়, আমার দলে ফেরার কোন সুযোগ নেই।
বছরের পর বছর ধরে দলের হয়ে কাজ করা একজন তরুণ রাজনীতিবিদ, যিনি কিনা ফেসবুকে সামান্য একটি পোষ্ট করার কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেন!
রেসুল জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দলের বিভিন্ন পদে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। দুই বছরের অধিক সময় তিনি দলটির কেন্দ্রীয় পরিচালনার দায়িত্বেও ছিলেন।
তিনি দলের যুব শাখায়ও সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। রাজধানী ভিয়েনার দশম জেলায় যুব সংস্থার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। দলের বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় রেসুলকে ২০২০ সালের জুন মাসে দলটির পূর্ণাঙ্গ সদস্য করে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, অস্ট্রিলিয়া গত ১৪, মে শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় ভবনে জায়োনিস্ট ইহুদীদের সমর্থনে ইসরাইলি পতাকা উত্তোলন করে।