আফগানিস্তানের হেরাত, ফারয়াব ও কুন্দুজে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর উপর ৩টি সফল হামলা চালিয়েছেন তালিবান মুজাহিদিন। এতে ২৭ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং ৩৮ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য আহত হয়।
গত দু’দিন ধরে মুরতাদ কাবুল বাহিনী হেরাত প্রদেশের শিন্দান্দ জেলায় তালিবান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টায়া অভিযান চালিয়ে আসছিল। যার ফলে গত ২৮ মে জেলাটির বিভিন্ন এলাকায় তালিবান মুজাহিদদের তীব্র হামলার শিকার হয় মুরতাদ বাহিনী। অভিযান চলাকালীন মুজাহিদদের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মুরতাদ বাহিনীন ৮টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে যায়।
তালিবান সূত্র জানিয়েছে, মুজাহিদদের হামলায় চাংগানে শত্রু বাহিনীর ৩টি ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে, মীর কাসিম গ্রামে ১টি, খরাজ-নাউ এলাকায় ১টি এবং কারজাবি-বে এলাকায় মুজাহিদদের হামলায় আরো ৩টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়। এছাড়াও এসব স্থানে মুজাহিদদের তীব্র হামলায় ১৩ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং আরো ১৭ পুতুল সেনা আহত হয়।
এদিন কুন্দুজ প্রদেশ থেকে প্রাপ্ত খবরে বলা হয়েছে, প্রদেশটির ইমাম সাহেব জেলার কানজোগি এলাকায় মুরতাদ কাবুল সরকারের অপারেশনাল ফোর্সের সাথে (২৮ মে) সকালে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছিল, যা ঐদিন বিকেল পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষণ না মুরতাদ সৈন্যরা পালিয়ে যায়।
সর্বশেষ তথ্য মতে, এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় শত্রুদের অপারেশনাল ফোর্সের প্রধান কমান্ডার সহ ৫ পুতুল সৈন্য মারা গিয়েছিলেন এবং আরো ১৩ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছিল। বিপরীতে এই যুদ্ধে দু’জন মুজাহিদও আহত হয়েছেন।
এমনিভাবে আজ (২৯ মে) সকাল ৯ টায় ফারয়াব প্রদেশের জুমা বাজার জেলার বাদগিসি এলাকায় ইসলামী ইমারাতের তালিবান মুজাহিদিনরা মুরতাদ কাবুল সরকারের পুতুল সেনাদের উপর একটি সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ছিলেন। কারণ এই মুরতাদ সৈন্যরা সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করে আসছিল।
আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত এলাকাটিতে মুরতাদ বাহিনীর উপর হামলা চালান মুজাহিদগণ, ফলস্বরূপ এই অঞ্চলটি মুরতাদ ভাড়াটে সৈন্যদের থেকে পুরোপুরি মুক্ত করেন মুজাহিদগণ। এছাড়াও মুজাহিদদের হামলায় ৯ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং আরো ৮ মুরতাদ সৈন্য আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় ৩ জন মুজাহিদও আহত হয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ। এভাবেই কুফফাররা ধ্বংস হবে।ইসলামের বিজয় আসবে।
আলহামদুলিল্লাহ।