সাংবাদিকতার আড়ালে নঈম নিজামের কালো অধ্যায়!
.
সাংবাদিকতা যদিও বিশ্বব্যাপী একটি মহান পেশা হিসেবে পরিচিত, বর্তমান বিশ্বে সৎ ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত খুবই কম। আর বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা পেশা যেন হয়ে উঠেছে অবৈধ উপার্জন ও পক্ষপাতের পুস্তকীয় উদাহরণ।
এমনই একজন সাংবাদিক নঈম নিজাম, যিনি একাধারে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক এবং টেলিভিশন চ্যানেল NEWS24 ও Radio Capital FM -এর সিইও। নিজে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনকে বানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, যে পদে অতীতে আর কোন মহিলাকে দেখা যায়নি।
নঈম নিজামের বিরুদ্ধে সমালোচনা তুঙ্গে উঠে- প্রথমত, যখন তিনি পেশাগত নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে ভূমিদস্যু আহমেদ আকবর সোবহানের সকল অপকর্মকে ঢেকে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে; এবং দ্বিতীয়ত, যখন সে সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে আওয়ামী দালাল সরকার কর্তৃক প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে।
৮০’র দশকে নঈম নিজাম দৈনিক ভোরের কাগজ ও আজকের কাগজ পত্রিকার রাজনৈতিক প্রতিবেদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এটিএন বাংলা চ্যানেলের বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন কয়েক বছর।
১/১১-এর সময় DGFI-এর ফজলুল বারির সাথে সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে নঈম নিজাম নিজের অবস্থান শক্ত করে নেন। তিনি সে সময়ে বলে দিতেন রাজনীতির মাঠে কাকে ধরতে হবে কাকে ছাড়তে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পতনের পর এই মিডিয়া মাফিয়া ‘বসুন্ধারা গ্রুপের’ মাধ্যমে নিজের প্রভাব বাড়াতে থাকে। বাংলাদেশ প্রতিদিন তখন হয়ে উঠে ভূমিদস্যু আহমেদ আকবর সোবহানের ঢাল। আকবর সোবহান প্রতি মাসে কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে পত্রিকাটি সচল রাখে।
নঈম নিজামের তত্ত্বাবধানে বসুন্ধরার মিডিয়া হাউজ, প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীদের এবং সোবহানের শত্রুদের ঘায়েল করার কাজও চালিয়ে গেছে সমানতালে। এই মিডিয়া আউটলেট গুলোর আক্রমনের মুখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী অনেক কণ্ঠও চুপ হয়ে যায়।
তবে কথিত আছে, সাংবাদিক নঈম নিজামের কোন ডিগ্রী নেই; এজন্য অনেক পেশাদার সাংবাদিক অফ দা রেকর্ডে নঈম নিজামকে অর্ধশিক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করেন। সম্প্রতি এই অর্ধশিক্ষিত সাংবাদিক ডেইলি স্টার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছে।
বাংলাদেশ ফাইনেন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) গতবছর মধ্য জুনে নঈম নিজামের ব্যাংক হিসাব তলব করে। সাধারনত একাউন্টে কোন অস্বাভাবিক লেনদেন দেখলে বা মানি লন্ডারিং-এর অভিযোগ থাকলে বা টাকা পাচারের আলামত পেলে BFIU কারো ব্যাংক হিসাব তলব করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ সেপ্টেম্বর ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে BFIU, যাদের মধ্যে নঈম নিজামের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের নাম রয়েছে।
এই দম্পতি শুধু যে নিজেদের পকেট মোটা করেছে তা নয়, তাদের দুই ছেলে-মেয়েকে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াচ্ছে আমেরিকার ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই যখন বাংলাদেশের কথিত সাংবাদিক নেতাদের অবস্থা, তখন এদেশে সাংবাদিকতা যে কতটুকু স্বাধীন আর নিরপেক্ষ, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
বলা হয়ে থাকে, সাংবাদিকতার একটি মূলনীতি হচ্ছে- এটি ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতা হয়ে ক্ষমতাবানদেরকে দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় যে তারা তাদের ক্ষমতার কতটুকু কিভাবে কার স্বার্থে প্রয়োগ করছে।
কিন্তু নঈম নিজাম ও তার স্ত্রীর মত সাংবাদিকরা টিকেই আছে ক্ষমতাবানদের পদলেহন করে নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে।
এটাই বিগত দশকজুড়ে এদেশের অধিকাংশ সাংবাদিকের মূলনীতি হয়ে দাড়িয়েছে বলে মনে করেন সচেতন নাগরিক মহল।
সাংবাদিকতা এদের কাছে নিজেদের পেট-পূজা, নিজেদের বিলাসী জীবনের অর্থ যোগানের মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়!
তথ্যসূত্র:
https://tinyurl.com/yhayn4tc
আমাদের দেশের সাংবাদিকদের মাঝে ভারতীয় সাঁড়গুলোকে চিন্তিত করে ঈদুল আযহায় কুরবানি দেওয়া হোক🗡️🗡️⚔️⚔️
মুহতারাম ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- ভূমিদস্যু আহমাদ আকবর সোবহান,আর ওর গৃহপালিত সাংবাদিক নইম নিজামের কুফরীগুলোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হোক।এই কুলাঙ্গাররাই তসলিমা নাসরিনের মত ফালতু মুরতাদের থার্ডক্লাস লেখা দৈনিক পত্রিকার উপসম্পাদকীয়তে ছাপিয়ে প্রচার করছে।বাংলাদেশ প্রতিদিনের কলামগুলোতে ছাপা হওয়া তসলিমার কলামগুলিতে থাকে পর্দা,জিহাদ,মিরাসের মত অকাট্য বিধানগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিষোদগার।
এ ছাড়াও এদেশে ভারতের দালালিতেও এই কুলাঙ্গাররাই শীর্ষে থাকবে।
এসব লেখা মুরুব্বী উলামায়ে কেরামের কাছে নিয়ে দেখানো উচিত,যেন তারা এই ইলহাদ প্রচারকারী ৫ টাকার পত্রিকাকে বয়কটের ডাক দেন।সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভূমিদস্যুর পুত্রের মুনিয়ার সাথে অপকর্ম নিয়ে যতটা আওয়াজ ওঠেছিল,তার চেয়ে বেশি আওয়াজ ওঠানো উচিত এদের এই খুল্লামখোলা ইলহাদ এবং জান্দাকাহ নিয়ে।