পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলিমদের উপর দখলদার চীনাদের জুলুম-নিপীড়নের কঠোরতা রূপকথাকেও যেন হার মানায়। যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলিম কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দী, মুক্তদেরও দিন কাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি আর গ্রেফতার আতঙ্কে, ধর্মচর্চা যেখানে নিষিদ্ধ, সেখানে মুসলিমদের পক্ষে কোরআন শরীফের পবিত্রতা রক্ষা করা কতটা কঠিন, সেটা দেখা গেলো ডকুমেন্টিং অপরেশন এগেইনস্ট মুসলিম বা ডোম-এর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে।
বন্দী নির্যাতনের উপায় হিসেবে নিষ্ঠুর চীনারা বন্দী মুসলিমদেরকে জোড় করে পবিত্র কোরআনের উপর মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে যখন অসহায় উইঘুর মুসলিমরা কুরআনের পবিত্রতা রক্ষার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন, অনন্যোপায় হয়ে তাই তারা কোরআনকে পলিথিনে মুরিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছেন।
ইলি নদীতে উইঘুর মুসলিমদের ভাসিয়ে দেওয়া এমন কিছু কোরআন আটকা পড়েছে পাশের দেশ কাযাকস্তানের পূর্ব তুর্কিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলের আমলাতাই গ্রামের জেলেদের জালে। গ্রামের কিছু লোক পূর্ব তুর্কিস্তান থেকে বয়ে আসা ইলি নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের জালে আটকা পরে ঐ কোরআনের কপিগুলো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ডোম-এর ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, লোকেরা সাজিয়ে রাখা কোরআনের কপিগুলো দেখাচ্ছেন বর্ণনাকারীকে। আর ঐ বর্ণনাকারী কুরআনে থাকা নানান চিহ্ন দেখিয়ে প্রমাণ করছেন যে, কোরআনের কপিগুলোর মালিক অসহায় উইঘুর মুসলিমরা। তাই এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, এই কপিগুলো সীমান্তের ওপার থেকেই ভেসে এসেছে।
কোরআনকে অপবিত্র করা বা জ্বালিয়ে দিতে বাধ্য হওয়ার চেয়ে ইলি নদীতে নিক্ষেপ করাকেই বেশি সম্মানজনক মনে করেছেন অসহায় উইঘুর মুসলিমরা।
তথ্যসূত্র :
——–
১। Few villagers of Kazakhstan fished out copies of the Quran from Ili River – https://tinyurl.com/rum3pnpx