বৈশ্বিক জিহাদী আন্দোলনের রূপকার ও ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত ক্বায়দাতুল জিহাদের সর্বোচ্চ আমীর (প্রধান) শাইখ ডঃ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিঃ)’র নতুন একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি ৩৮ মিনিটের নতুন এই ভিডিও বার্তাটি “জাতিসংঘের হুমকির বিষয়ে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করা” শিরোনামে সংগঠনের প্রধান প্রচারমূলক মিডিয়া শাখা আস-সাহাব থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
শাইখ তাঁর নতুন এই ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘের (ইউএন) কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি যৌক্তিক ভাবে তুলে ধরেছেন জাতিসংঘের মুসলিম বিরোধী কর্মকান্ডকে। তিনি এটাও দেখিয়ে দিয়েছেন যে, জাতিসংঘ কিভাবে অমুসলিম বিশ্বের এক চেটিয়া তাবেদারি ও পক্ষপাতিত্ব করছে।
বক্তৃতায় শায়েখ (হাফি:) বলেন, “জাতিসংঘ একটি বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী অমুসলিম কাফেরদের বিশ্ব আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা নিয়েই এর পথচলা শুরু হয়েছে। তারা এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিজেদের তৈরি একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও মতবাদ বিশ্বের বাকি দেশ ও মানবতার উপর চাপিয়ে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য সমগ্র মানবতাকে বিশেষ করে মুসলমানদের নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী কাজ লাগানো।”
আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতিসংঘ এমন সব সংগঠন তৈরি করেছে, যে সংগঠনগুলো তাদের ছলনাময় সুন্দর বাক্যমালা ও প্রচারণার মাধ্যমে মুসলিমদেরকে ইসলামি শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যায় এমন আদর্শ মানুষের উপর কৌশলে বা সরাসরি চাপিয়ে দেয়।
শায়েখ আইমান আরো বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন) যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী ছিল, তারা জাতিসংঘের সমস্ত স্ট্রিং তাদের হাতে ধরে রেখেছে। এর মাধ্যমে এই রাষ্ট্রগুলি তাদেন সবচেয়ে বড় অপরাধগুলোও মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখছে।”
শাইখ তাঁর বার্তায় মুসলিম দেশ ও এর জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ” তাদের জাতিসংঘের আইন ও রেজুলেশন প্রত্যাখ্যান করা উচিত, কারণ এগুলো ইসলাম ও নৈতিকতার পরিপন্থী।”
জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার শর্তগুলির জন্য এই প্রতিষ্ঠানের আইন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর জাতিসংঘের পাতানো এসব আইন ও রেজুলেশন মেনে নেওয়ার দ্বারা মূলত ইসলামী শরিয়াহ্’কে অস্বীকার করা হবে।
তিনি আরও বলেন “নিরাপত্তা সম্পর্কে জাতিসংঘের বোঝাপড়ার লক্ষ্য হচ্ছে- স্থিতাবস্থা এবং শোষকদের রক্ষা করা, সেই সাথে দখল ও নিপীড়নের অধীনে মুসলমানদের প্রতিরোধ সংগ্রামকে যেকোন উপায়ে প্রতিহত করা।”
আর এর মধ্যমেই জাতিসংঘ মুসলিমদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখানেই শেষ না, বরং জাতিসংঘ পরবর্তী সময়কালে ইসরায়েলের সম্প্রসারণকে সমর্থন করেছিল এবং ইসরায়েলকে সবদিক থেকে রক্ষা করেছিল।”
তাই এমন একটি মুসলিম বিরোধী সংঘের নিরাপত্তা বাহিনীর হয়ে কাজ করা এবং জাতিসংঘের শর্ত মেনে এর সদস্য হওয়াও সমানভাবে অপরাধ। কেননা জাতিসংঘের সদস্যে হওয়ার মাধ্যমে সেও ইসলামিক ভূমির বর্তমান দখলদারিত্বকে মেনে নেবে।
উদাহরণস্বরূপ, এই সদস্য পদের মাধ্যমে সে চেচনিয়া, ককেশাস, মালি, মধ্য এশিয়া, কাশ্মীর, সোমালিয়া, পূর্ব তুর্কিস্তান, জিলা, হারার এবং জানজিবারের দখলদারিত্বকে মেনে নিবে। কেননা জাতিসংঘে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষো সহায়তার মাধ্যমেই মুসলিমদের পবিত্র ভূমিগুলো দখল করেছে ইসলামের শত্রুরা।
আল্লাহ শাইখকে হিফাজত করুন আমিন!
পরিশেষে আমার কামনাও চাওয়া পাওয়া এই শয়তানি সংঘকে (জাতিসংঘকে) দূনিয়াথেকে মূছেফেলার তাওফিক দান করুন!
আমিন
Ameen.
আলহামদুলিল্লাহ,, পোস্টটি পড়েছি, আল্লাহ তায়ালা, আমাদের সম্মানিত শাইখকে হায়াতে ত্বয়্যিবাহ দান করুন আমীন।
বাংলা সাবটাইটেলসহ যদি ভিডিওটি আপলোড দেওয়া হতো,তাহলে আরও ভালো হতো আশা করি।
আল্লাহ কর্মরত ভাইদের জাজায়ে খাইর দান করুন।