বেঙ্গালরুর কর্নাটকে সালমান (২২) নামের এক যুবককে চুরির দায়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পুলিশি হেফাযতে চালানো হয় তার ওপর অমানবিক নির্যাতন।
সালমানের ভাষায়, “আমাকে ভারথুর পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে তিনজন পুলিশ। বাধ্য হয়ে আমি তাদের কাছে তিনটি গাড়ীর ব্যাটারী চুরির স্বীকারোক্তি দেই…তারা আবার আমাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে এবং আমি যেই অপরাধ করি নি সেই বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বলে।”
সাল্মান আরও জানায়, “আমাকে টানা তিনদিন নির্যাতন করা হয় এবং তারা আমার শরীরের যে কোন একটি অংশ টার্গেট করে সেখানে অনবরত মারতে থাকে এবং লাথি দিতে থাকে”।
সালমানের মা সাবিনা অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলেকে পুলিশি হেফাযতে থাকার সময় তাকে দেখতে দেওয়া হয় নি, বরং উল্টো সালমানকে মুক্তি দেবার জন্যে পুলিশ তার কাছে ঘুষ চেয়েছে।
সাধারণত চুরির দায়ে জেলে এমন নির্যাতন খুবই কম হয়। কিন্তু সালমান মুসলিম হওয়ার কারনেই তাকে এতো বেশি নির্যাতন করা হলো। নির্যাতনের ফলে তার হাতটি কেটে ফেলতে হয়। গরীব ঘরের এই মুসলিম যুবকটির মেডিকেল খরচের জন্য তার পরিবারকে খরচ করতে হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা।
যে হিন্দুত্ববাদীরা চুরির অজুহাতে পিটিয়ে মুসলিমদের হাত-পা থেতলে দেয়, হিন্দুত্ববাদীরাই আবার ইসলামে চোরের হাত কাটার বিধানকে কটাক্ষ করে। নিজেদের বর্বরতা আড়াল করতে বর্বর এই হিন্দু সন্ত্রাসীরাই আবার ইসলামের এই বিধানকে বর্বর হিসেবে আখ্যা দেয়।
হিন্দুত্ববাদীদের এমন আচরণকে সচেতন মুসলিমরা তাই তাদের ‘ইসলাম বিদ্বেষী ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।
তথ্যসূত্র :
——
১। Bengaluru: Muslim man’s hand amputated after torture in police custody –
https://tinyurl.com/2p8he4am