পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সম্প্রতি একটি ইনফোগ্রাফি প্রকাশ করেছে। যেখানে গত ডিসেম্বরে দেশটির গাদ্দার বাহিনীর উপর মুজাহিদদের পরিচালিত হামলার বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বছর নভেম্বরের ৯ তারিখ থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত একমাসের যুদ্ধবিরতি পালন করে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। কিন্তু পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনী এসময়ের মধ্যে শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি এবং চুক্তি মানে নি। ফলে পাক-তালিবান যোদ্ধারা পূণরায় গাদ্দার সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চলাতে শুরু করেন। সেই সূত্রে তালিবানরা ডিসেম্বরের বাকি ২০ দিনে সামরিক বাহিনীর উপর মোট ৪৫টি হামলা চালান।
এরমধ্যে উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং বাজোর এজেন্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৪টি করে ২৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, বাকি হামলাগুলো চালানো হয়েছে ডেরা ইসমাইল খান, পেশোয়ার, বান্নু, খাইবার এজেন্সি, রাওয়ালপিন্ডি, লাকি মারউত, ট্যাঙ্ক, দারা আদমখেল এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এসব হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনী, পুলিশ, এফসি এবং গোয়েন্দা সদস্যরা।
টিটিপির মতে, এসবের ১১টি হামলা স্নাইপার রাইফেল দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। বাকিগুলোর পাঁচটি অ্যামবুশ, চারটি পাল্টা আক্রমণ, একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, দশটি বোমা হামলা এবং সাতটি গেরিলা অভিযানসহ ৭টি টার্গেট কিলিং অপারেশন।
ইনফোগ্রাফিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুজাহিদদের ২০ দিনের এসব সফল অভিযানে গাদ্দার সেনাবাহিনীর ৭৭ সদস্য, পুলিশ বাহিনীর ৩১ সদস্য, ভাড়াটে ৫ সদস্য, গোয়েন্দা বাহিনীর ৩ সদস্য এবং এফসি বাহিনীর ১ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে। যাদের মাঝে নিহতের সংখ্যা ৫০ এবং আহতর সংখ্যা ৬৭ হয়েছে।
Alhamdulillah
আলহামদূলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ… আল্লাহুম্মা উনছুরিল মুসলিমিন,ওয়াল মুজাহিদিন, ফি কুল্লি মাকান৷৷৷