শুক্রবার ছুটি বাতিল ও মদপানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার গাদ্দার আরব আমিরাত সরকারের

মোহাম্মদ ইব্রাহীম

7
1805
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল ও মদপানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার গাদ্দার আরব আমিরাত সরকারের

মুসলিমদের কাছে শুক্রবার জুমার নামাজের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার দিন। এ হিসেবে শুক্রবার মুসলিম দেশগুলোতে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। তবে, সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়েছে এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।

শুক্রবার জুমার নামাজের দিনের ছুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে দেশটি। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী সাপ্তাহিক বন্ধ শুরু হবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে রোববার পর্যন্ত।

সেই সাথে মদপান ও নারী-পুরুষের অবৈধ মেলামেশার উপর আইনি নিষেধাজ্ঞাও উঠিয়ে নিয়েছে দেশটি।

গতকাল (৭ জানুয়ারি) আমিরাত কেন্দ্রীয় সরকারের মিডিয়া কার্যালয়ে থেকে বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে সেই আদেশ। বলা হয়েছে, নতুন বছরে দেশজুড়ে সাপ্তাহিক কর্মদিবস হবে সাড়ে ৪ দিন। সাপ্তাহিক ছুটি শুরু হবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে রোববার পর্যন্ত।

আদেশে আরও বলা হয়, সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকাল ৯ টা কিংবা ১০ টা থেকে কর্মঘণ্টা শুরু হলেও শুক্রবার শুরু হবে সাড়ে ৭ টার দিকে, শেষ হবে বেলা ১২ টায়।

বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মতো আমিরাতেও শুক্র ও শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। এই দিনটি কর্মদিবস হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশটির মুসলিম জনগণ।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মুসলিমরা বিশেষভাবে নতুন প্রজন্ম যাতে ইসলামি সংস্কৃতি ও জুমার দিনের তাৎপর্য ভুলে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুসরণ করতে পারে, এ জন্যই শুক্রবারের বন্ধ বাতিল করলো আমিরাতি দালাল শাসকগোষ্ঠী।

উল্লেখ্য যে, গতবছর দখলদার ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে আরব আমিরাতের দালাল শাসকগোষ্ঠী। এছাড়াও ইয়েমেনে আগ্রাসন চালানো সৌদি জোটেও রয়েছে দেশটির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম।

এজাতীয় ইসলামবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূখণ্ডগুলোর এই দালাল শাসকগোষ্ঠীগুলোকে উৎখাতে বরাবরই প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন হকপন্থী উলামাগণ।

তথ্যসূত্র:
======
১। Speculation of UAE change of weekend generates global headlines-
https://tinyurl.com/2p9fp646

7 মন্তব্যসমূহ

  1. আমি রাফি ভাই কে বলছি।
    আপনি আল-কায়েদা কে কেন এই কথা বলছেন? কেন দোষারোপ করবেন? আল্লাহ! কি শুধু আল-কায়েদার উপর জিহাদ ফরজ করেছেন? নাকি উম্মতে মোহাম্মদী সবার ওপরে ফরয করেছেন? বর্তমানে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে আছে। তাহলে আপনি কেন বসে আছেন? আল-কায়েদার মুজাহিদ ভাইয়েরা যদি অন্য ভূখণ্ডে কাজ করে থাকেন। তাহলে আপনিও ফিলিস্তিনি কাজ করতে পারেন। এবং শুরু করে দেন। তাতে আপনার ফরজ দায়িত্ব ও আদায় হবে এবং অন্য মুজাহিদ ভাইদের কে আপনার কাজের ধারা উৎসাহিত করতে পারবেন। এবং সহযোগিতা ও করতে পারবেন। আপনি কি ঘরে বসে থেকে অন্যদের ব্যাপারে নাক গলাবেন। তাতে কি আপনি পার হয়ে যাবেন। ওল্লহি! আল্লাহর কসম কখনো নয়। এই জিহাদ সবার উপরে ফরজ।আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদী সবার উপর ফরজ করছেন। তাই মুখে ফাটা বলিনা উড়িয়ে বাস্তবে কিছু করে দেখান। যাতে এই উম্মাহর জন্য কিছু ফায়দা হয়। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। তারপরেও যদি না বুঝেন ভেবে নিয়েন আপনাদের মধ্যে ইসলামের আসল জ্ঞানই নেই আছেন। আগে নিজেকে ঠিক করে নেন। আল-কায়েদার মুজাহিদদের মত আপনার ও মর্যাদা বানার তারপরে উনাদের ব্যাপারে কথা বলেন। আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে মাফ করুন আমীন এবং হেদায়েতের নুর দেখান আমিন।

    • মুসাফির সাহেব!
      আমি জিহাদ করছিনা তা ঠিক, ফরয লঙ্ঘন হচ্ছে।
      কোন একটা সংঘটনের ওপর অন্যদের আপত্তি থাকতে পারে, সংঘটনের যারা সদস্য বা সমর্থক তাদের উচিত আপত্তির যুক্তিক জবাব দেওয়া। আপত্তিকারীকে দোষারোপ করা নই।
      কিন্তু আপনি জাবাব না দিয়ে দোষারোপ করছেন! যা দুঃখজনক!
      আর আমি শুধু আল কায়েদাকে নির্দিষ্ট করেছি এজন্য যে এটি গ্লোবাল একটি জিহাদি সংঘটন। তাই সর্বপ্রথম এর নামই আসবে। যেমন বিশ্বের কোথাও কিছু হলে তখন আমরা জাতিসঙ্ঘের বলি, কারণ এটি একটি বৈশ্বিক সংঘটন।
      এখন যদি জাতিসংঘের ওপর আপত্তি করি, তাহলে সে কি বললে তুমি করতে পারনা? আমাকে কেন বল? আমিতো অন্যস্থানে ব্যাস্ত!

  2. আমি সাধারণত ওয়েবসাইটে কমেন্ট করি না কিন্তু আপনার কমেন্ট দেখে,, আর চুপ থাকতে পারলাম না,,,,, ভাই আপনি কে আমি জানি না,,,, আপনি আল কায়দা মুজাহিদীনদের দোষ দিচ্ছেন ,,,, খুবই দুঃখ জনক ব্যাপার,,,, ( আল কায়দা শুধু একটা নাম মাত্র ,, এটি আহলে সুন্নাহ ও জামাআহ ও সালফেসালেহীন দের মানহাজ )
    আপনার প্রশ্নের জবাব,,,,,,, আপনি বলেছেন
    🔴 ইসরাইল ফিলিস্তিনিদেরকে প্রতিদিন মারতেছে, কিন্তু আল-কায়েদা চুপ কেন? = ভাই আপনি কি শুনেছেন আল কায়দার শায়েখদের ব্যক্তব্যগুলো,,,,,,
    9/11 এর কথা মনে আছে । আল কায়দা চুপ থাকার পাত্র নয়।
    কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন ভাই,, আরো কিছু দেখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।
    আপনি আরও বলেছেন,,,,,,
    🔴প্রতিটা ইয়াহুদি মুসলিমদের জন্য একটা একটা বোম। কিন্তু আল-কায়েদা নামধারী মুসলিম সেনা-শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্ষান্ত হয় নাই বরং সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত আছে, আর আমেরিকার সাথেতো আছেই।
    আমরা বলি যে,,, আপনি তাহলে জানেন না,,,, ভাই
    আমরা কোনোদিনই ইহুদিদের ছাড় দিইনি,,,, “মুসলিম সেনা-শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কে ক্ষান্ত হয় নাই বরং যুদ্ধে লিপ্ত আছে ” আপনি কাদেরকে মুসলিম বলছেন,,,, ঔসব মুরতাদ ও তাগুতদের কে,,, যারা সরাসরি আল্লাহ তায়ালা দীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত আছে । আমি সেনাদের ব্যাপারে বলে ইসলামে উসুল অনুয়ায়ী ফিকহি কারণে আমরা তাদের সবাইকে মুরতাদ ও তাগুত বলে আখ্যায়িত করি না ।
    আপনি তাহলে আমাদের বুঝাতে চাচ্ছেন আমরা ইহুদিদের আধুনিক আইরন ডোম,,অটোমেটিক রাইফেল,,
    রোবটিক যুদ্ধযান দেখে আমরা ভয় পাচ্ছি ,,, ঐ সত্তার কছম যার হাতে আমাদের জান এবং মাল কখনই না
    আমরা কখনোই তাদেরকে ভয় করি না,, একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ছাড়া,,,, বরং মুজাহিদদের ভয়ে ভীতুর ডিমেরা এতো প্রটেকশন নিয়েছে,,,,, সামান্য একটা পাথড় ঢিল মাড়লেও যারা ভয়ে পালাই ,
    🔴 কিন্তু ইয়াহুদিদের বেলায় বিবৃতি ছাড়া আর কিছু নাই।
    আমাদের প্রশ্ন আল-কায়েদা ইয়াহিয়াদের সাথে যুদ্ধ করতে অক্ষম নাকি ভয় পায় নাকি আল কায়দার ওপর ইয়াহুদিদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে!??
    এই কথা গুলো যদি আপনার হয়ে,, তাহলে আমি বলি
    আপনাকে কে বলেছে আল কায়দা ইহুদিদের সাথে যুদ্ধে করতে অক্ষম,, সাবধান ভাই এইগুলো বলবেন না । আপনি বলেছেন “আল কায়দা উপর ইহুদিদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে ”
    ইহুদিদেরকে জিগেস করুন তারা আল কায়দা মুজাহিদেরকে কতটা ভয় পাই ,,,, শুধু ইহুদি না পশ্চিমাদেশ গুলোর দিকে তাকান আল কায়দা মুজাহিদের ভয়ে যাদের রাতে ঘুম হয় না। আল কায়দা উপর ইহুদিদের যথেষ্ট প্রভাব আছে ,,, আল্লাহ তায়ালা আপনার এই কথার জবাব দিবেন ইনশাআল্লাহ ,,,
    🔴 নাকি আল-কায়েদা ইয়াহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে? মুসলিমদেরকে ধোকা দিয়ে?
    = ভাই নিজের নফসের উপর সংযত হন। আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করুন। আপনি ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন বলতে কি বুঝাতে চাইছেন,, আপনার মাথা ঠিক আছে তোও,,, মিথ্যা যুক্তি উপস্থাপন করবেন না,,, কোন দলিলের উপর ভিত্তি করে আমাদেরকে শয়তান ইহুদিদের দালাল বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত আছেন,,,, আপনার আল কায়দা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান রাখারোও যোগ্যতা নেই । ফিতনা থেকে বেচে থাকুন।

    বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যদি কোনো ভাই পারেন তাহলে এই সব কমেন্টের যথাযথ উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালিতে আল-কায়েদার চিরুনী অভিযানে ১২ আইএস সন্ত্রাসী নিহত, একজন বন্দী
পরবর্তী নিবন্ধইরাকে আল কায়েদার প্রত্যাবর্তন; যে ইতিহাস অন্তরালে ছিল এতো দিন!