উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় চলতি মাসে দ্বিতীয় বারের মত বড় ধরনের হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ১৫ এরও বেশি দস্যু নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবরণ অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলিয় কাদুনা রাজ্যে গত ১৬ জানুয়ারি বড়ধরণের একটি হামলা চালানো হয়েছে। যার মাধ্যমে ১৫ এরও বেশি দস্যুকে হত্যা করা হয়েছে। সেই সাথে আহত করা হয়েছে নিহত দস্যুদের সংখ্যার চাইতেও অধিক সংখ্যককে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে, রাজ্যটির দামারি শহরে পরিচালিত এই অভিযানের সময় দস্যুদের ১৪ টিরও বেশি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
অপরদিকে অভিযান শেষে প্রতিরোধ যোদ্ধারা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অস্ত্র অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পাশাপাশি অনেক নগদ অর্থ ও কয়েকটি মোবাইল তাঁরা গনিমত লাভ করেন।
এদিকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত আনসারুল মুসলিমিন ফি বিলাদ আস-সুদান (আনসারু) বরকতময় এই হামলার দায় স্বীকার করে একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেই সাথে দলটি তাদের বরকতময় এই অভিযান শেষে প্রাপ্ত গণিমতেরও কিছু ছবি প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য যে, আনসারু সম্প্রতি এক বিবৃতীতে আল-কায়েদার সাথে অফিসিয়ালি নিজেদের সম্পর্কের জানান দিয়েছে। এরপর এটি ছিল নাইজেরিয়ায় আনসারুর দ্বিতীয় হামলা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট এই প্রতিরোধ বাহিনীটি দীর্ঘদিন ধরে নাইজেরিয়ায় চলে আসা বিশৃঙ্খলার নিষ্পত্তি করতে সম্প্রতি দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি আঞ্চলিক মিলিশিয়া গ্রুপ ও দস্যুদের উপরও হামলা চালাতে শুরু করেছেন। এসব সন্ত্রাসী মিলিশিয়াদের জুলুমের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন দেশটির জনগণ। এভাবে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ যোদ্ধারা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং দেশটির ভবিষ্যত কর্তৃত্বের বিকল্প হিসাবে নিজেদেরকে উপযুক্ত প্রমাণ করছেন।