বিনা অপরাধে মুসলিমদের কারাগারে আটকে রাখছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী আদালত

ভারতে অনেক নিরপরাধ মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী করে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী সরকার। গ্রেফতার,হয়রানি, মামলা মোকাদ্দমা বহু মুসলিম পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে, মুসলিমদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করে দিচ্ছে। অনেক টাকা পয়সা নষ্ট করে মামলা মোকাদ্দমা চালানোর পর হিন্দুত্ববাদী আদালত স্বীকার করে, আসলে বিনা অপরাধেই তাদের বন্দী রাখা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের এমন জঘন্য আচরণের শিকার কত মুসলিম হয়েছেন তার কোনো সঠিক হিসেব নেই।

গত ২৭/০১/২২ বৃহস্পতিবার কেরালা হাইকোর্ট কোঝিকোড় মফস্বল বাস স্ট্যান্ড এবং কেএসআরটিসি বাস স্ট্যান্ডে জোড়া বোমা বিস্ফোরণ সম্পর্কিত একটি মিথ্যে মামলায় দুই মুসলিম নাজির এবং শাফাজকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। কারণ ৩ মার্চ, ২০০৬ সালের জোড়া বোমা হামলার সাথে জড়িত থাকার মিথ্যে অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতার করে। এই দীর্ঘ সময়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
তাদেরকে প্রথমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মামলার প্রথম ও চতুর্থ আসামি নাজির ও শাফাজ ট্রায়াল কোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বাতিল চেয়ে আপিল করেন।

বিচারপতি বিনোদ কে. চন্দ্রন এবং বিচারপতি সি. জয়চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চও মামলায় অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার ট্রায়াল কোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে (NIA)এন.আই.এ-এর দায়ের করা আপিল প্রত্যাখ্যান করেছে।
এখনো অসংখ্য মুসলিম হিন্দুত্ববাদীদের কারাগারে বন্দী আছেন। অনেকে টাকা পয়সার অভাবে মামলাও চালাতে পারেন না। নিরপরাধ হয়েও অন্ধকার কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন।

এক বছর আগে দেশদ্রোহের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহিন বাগ প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা তথা জেএনইউ-এর গবেষক শারজিল ইমাম। তার বিরুদ্ধেও এখনো কোনো অপরাধের অভিযোগের প্রমাণ দেখাতে পারেনি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। শুধু মুসলিম হওয়ার কারণে অগণিত যুবকদের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।

অন্যদিকে, হিন্দু সাধু সন্নাসীরা সরাসরি মুসলিম গণহত্যার ডাক দিয়েও প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর মুসলিমরা প্রতিবাদ করলেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।

তথ্যসূত্র:
Two Muslim men acquitted by Kerala High Court in 2006 twin blast case
https://tinyurl.com/2p8m943t