হিন্দুত্ববাদী ভারত কর্তৃক জবরদখলকৃত কাশ্মীরের দু’টি পৃথক অঞ্চলে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ও ভারতীয় দখলদার বাহিনীর সাথে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়েছে। ভারতীয় দখলদার সেনারা দাবি করে যে, এসময় তাদের হামলায় ৩ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেছেন।
কাশ্মীর ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম জানায় যে, আজ ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোরে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার নাইনা এলাকায় প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ভারতীয় দখলদার সেনা ও পুলিশ বাহিনীর একটি যৌথ দলকে টার্গেট করে বোমা বিস্ফোরণ করেন এবং গুলি চালান। এতে বেশ কয়েকটা ভারতীয় দখলদার সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়।
এই হামলার পর হিন্দুত্ববাদী ভারত দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা এবং শোপিয়ান জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে শুরু হয় পুলওয়ামার লিটার বেল্টের নাইনা এলাকায় ভারতীয় দখলদার সেনাদের অভিযান। সকাল থেকেই পুরো এলাকা ঘিরে চলে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি। যা দুপুর নাগাদ চলতে থাকে।
অভিযান শেষে ভারতীয় পুলিশ বাহিনীর দাবি করে যে, দীর্ঘ এই অভিযানের সময় তাদের হামলায় ২ জন কাশ্মিরী প্রতিরোধ যোদ্ধা বীরত্বের সাথে লড়াই করতে করতে শাহাদাত বরণ করেন (ইনশাআল্লাহ্)। তবে দখলদার ভারতীয় বাহিনী কৌশলে এই অভিযানে তাদের সেনা ও পুলিশ সদস্যদের হতাহতের ঘটনাটি এড়িয়ে যায়।
এদিকে কাশ্মীরি প্রতিরোধ বাহিনী ও ভারতীয় দখলদার বাহিনীর মধ্যকার এই লড়াইয়ের সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ কাশ্মীরিরাও। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারী ও দখলদার বাহিনীর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিন কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের হজরতবাল এলাকায়ও একটি সংক্ষিপ্ত লড়াই সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করে দখলদার ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার। তার ভাষ্যমতে, শ্রীনগরের উপকণ্ঠে হজরতবাল এলাকায় পুলিশের সাথে সংক্ষিপ্ত একটি লড়াই হয় কাশ্মীরি বীর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের। যেখানে দখলদার সাথে লড়াইয়ে একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন। এসময় হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় দখলদার বাহিনীর অবরোধ ভেঙে ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন অন্য দুইজন প্রতিরোধ যোদ্ধা। যাদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলচ্ছে দখলদার সেনারা।
দিন যতই যাচ্ছে, কাশ্মীরে ততোই জোরদার হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দখলদারদের উপর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা। আর এটিকে কাশ্মীরের মুক্তি ও ইসলামের ছায়াতলে আসার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন ইসলামি বিশ্লেষকগণ।