সাতক্ষীরায় মসজিদের খতিবকে যাচ্ছেতাই অপমান করেছে উগ্র হিন্দু ইউএনও

মাহমুদ উল্লাহ্‌

0
1044
উগ্র হিন্দু ইউএনও রুলী বিশ্বাস (বামে) ও খতিব মো. মতিউর রহমান (ডানে)

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রশাসন ও উগ্র হিন্দুরা ইসলাম বিদ্বেষের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সালাম না দেয়ার ঠুনকো অজুহাতে সাতক্ষীরায় এক উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব সাহেবকে যাচ্ছেতাই ভাষায় চরম অপমান করেছে সেই উপজেলার উগ্র হিন্দু মহিলা ইউএনও।

অপমানের শিকার সম্মানিত খতিব মোঃ মতিউর রহমান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদ মসজিদের দায়িত্ব পালন করছেন গত তিন বছর যাবত। অপরদিকে উগ্র হিন্দু ইউএনও হচ্ছে রুলি বিশ্বাস।

মো. মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, “গত ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মোহাম্মদ (ﷺ)-এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কীভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যায়, সেটি জানার জন্য গত ৮ অক্টোবর ইউএনও স্যারকে ফোন দেই। কিন্তু বেখেয়ালে সালাম দিতে ভুলে যাই। কিছুক্ষণ পর সে আমাকে আবার ফোন ব্যাক করে বলে, আমাকে সালাম করলেন না কেন? আমার স্বাক্ষরে আপনার বেতন হয়। তখন আমি বলেছি, সামনে খেয়াল রাখবো। তখন সে বলেছে, আপনি তো বেয়াদব মানুষের মতো আচরণ করছেন। আপনি নিজে বেয়াদব মানুষকে কী শেখাবেন, বলে বকাবকি করে। তখন আমি আবারও বলি, স্যার সামনে থেকে খেয়াল রাখবো। আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, বুধবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন চিঠি দিয়ে আমাকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানালে আমি সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে ইউএনও স্যার আমাকে পূর্বের দিনের সালাম না দেয়ার কথা তোলে। তখন আমি বলি, স্যার আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমি সবসময় সালাম দেই। তখন সে বলেছে, আমার চেহারা কি এতো ভালো যে আমার চেহারা দেখলে আপনি বেখেয়াল হয়ে যান? অন্যরা তো কেউ বেখেয়াল হয় না। আপনি বেখেয়াল হয়ে যান। বেয়াদব কোথাকার। বের হন, বের হয়ে যান এখান থেকে। যান, বের হয়ে যান। এর আগে বলেছে, ছাগলটা এখনও বের হয়নি! এই বলে সেখান থেকে আমাকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”

তিনি বলেন, সুনামের সঙ্গে আমরা দায়িত্বপালন করছি। কিন্তু এর আগে কখনও কোনো ইউএনও স্যার এভাবে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি।

আলেমদের অপমান করার বিষয়ে এই উগ্র হিন্দু মহিলার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। মাস খানেক আগেও একই মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মাসুদুর রহমানকে ঐ উগ্র মালাউন মহিলা বলেছে, “আপনি কি গাঁজা খান?”

সালামের ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান অনুযায়ী আদব হলো, কোন বালেগ পুরুষ কোন বালেগা নারীকে সালাম দিবে না। তার উপর সেই ইউএনও হচ্ছে হিন্দু মুশরিক। কোন কাফের বা মুশরিককে সালাম দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

মুসলিমদের রক্ত পানি করা ট্যাক্সের টাকায় বিরাট অঙ্কের সরকারি বেতন পায় এই উগ্র মালাউন মহিলা। অথচ সে একজন সম্মানিত খতিবকে বেতনের খোঁচা দেয়, যাচ্ছেতাই বলে অপমান করে, ছাগল-বেয়াদব বলে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়।

সকল ধর্মের সমান অধিকার, সকল মানুষের মর্যাদা সমান – এ ধরনের ন্যায়ের বুলি আওড়ানো দুমুখো প্রশাসন এই উগ্র হিন্দু মহিলার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিবে না হয়তো। কারণ এই প্রশাসন স্বয়ং নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননার সময় চুপ করে ছিল। এর আগেও হিন্দুত্ববাদী প্রিয়া সাহার দেশদ্রোহী বক্তব্য দিলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

সার্বিক ভাবে এটি স্পষ্ট যে, বর্তমান প্রশাসন নামে মুসলিম হলেও আসলে হিন্দুত্ববাদের রাম রাজ্য এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।



তথ্যসূত্র:
——–
১. সালাম দিতে ভুল, খতিবকে ‍‍‍ছাগল-বেয়াদব বলে অফিস থেকে তাড়ালেন ইউএনও!
https://tinyurl.com/yhm4cx5v

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধনামা।। পর্ব-৬।। শ্রাবালা হত্যাকাণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট || ইরানে সুন্নিদের আশার প্রদীপ জাইশুল-আদল এর শক্তি প্রদর্শন