স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূমিকে নিশ্চিহ্ন করতে গাজা উপত্যকায় ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আর এই গণহত্যাকে আরও দীর্ঘায়িত করতে জায়োনিস্ট বাহিনী নতুন করে ভারতের তৈরি মনুষ্যবাহীন ২০টি ড্রোন তাদের বিমান বহরে যুক্ত করেছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সামরিক বিষয়ক ওয়েবসাইট শেফার্ড মিডিয়ায় ভারতীয় সাংবাদিক নীলাম ম্যাথিউসের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করা হয় যে, ভারত-ইসরাইলের যৌথভাবে তৈরি হারমেস-৯০০ মডেলের ২০টি ড্রোন সম্প্রতি ইসরাইলে পাঠানো হয়েছে। এগুলো গাজায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায় যে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফা এলাকা এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায় একটি বড় সামরিক আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর এই আগ্রাসনে অধিক পরিমাণে ব্যবহার হবে হারমেস-৯০০ মডেলের ড্রোনগুলো।
যদিও ইসরাইল বা ভারত কোনো দেশই নতুন করে এই ড্রোনগুলো স্থানান্তরের বিষয়ে প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তবে ভারতের আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেসের একটি সূত্র দ্যা ওয়্যার এবং প্রেস টিভিকে নিশ্চিত করেছে যে ড্রোনগুলো ইসরায়েলে স্থানান্তর করা হয়েছে।
হারমেস-৯০০ মনুষ্যবিহীন যানগুলো মাঝারি উচ্চতার ও দীর্ঘ পাল্লার সামরিক ড্রোন। এটি ৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বাতাসে উড়তে পারে। ড্রোনটি পুনরুদ্ধার মিশনের পাশাপাশি বোমা হামলা সহ বিভিন্ন সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়। হারমেস-৯০০ ইসরায়েল দ্বারা ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় ব্যবহৃত চারটি প্রাণঘাতী ড্রোন মডেলের একটি। গাজায় ২০১৪ সালের যুদ্ধে প্রথমবার ড্রোনটি ব্যবহার করা হয়, যেই যুদ্ধে ২ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
হারমেস-৯০০ মডেলের ড্রোনগুলো কোচাভ বা স্টার নামেও পরিচিত, যা ইসরাইলের এলবিট সিস্টেমস এবং ভারতের আদানি গ্রুপ হায়দ্রাবাদের একটি কারখানায় যৌথভাবে উৎপাদন করছে। দুটি কোম্পানি ১৫ মিলিয়ন ডলারের যৌথ বিনিয়োগে হায়দ্রাবাদে প্রতিষ্ঠিত ড্রোন কারখানার ৪৯% শেয়ার ইসরাইলি কোম্পানিটির।