আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্র মুজাহিদগণ ইয়েমেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। ফলে এই অঞ্চলগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক কার্যক্রমও বাড়িয়েছে দলটি।
আল-মালাহিম মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল বুধবার, ইয়েমেনের আবিয়ান রাজ্যের আল-বাকিরা এলাকায় একটি অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। আক্রমণটি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী একটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়। এসময় মুজাহিদগণ শত্রু বাহিনীকে টার্গেট করে মাঝারি ও হালকা অস্ত্রের পাশাপাশি বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করেন। ফলে মুজাহিদদের এই অতর্কিত আক্রমণে অস্থায়ী সামরিক ঘাঁটিটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং সেখানে অবস্থান নেওয়া অনেক মিলিশিয়া সদস্যরা হতাহত হয়।
এর একদিন পর (২১ এপ্রিল), উক্ত এলাকায় আরও একটি অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এসময় মুজাহিদগণ শত্রু বাহিনীকে টার্গেট করে মাঝারি অস্ত্রের পাশাপাশি স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করেন। ফলে আল-বাকিরা এলাকায় মুজাহিদদের দ্বিতীয় দিনের অভিযানে আরব আমিরাতের ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস ও অন্য ২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সাথে অনেক মিলিশিয়া সৈন্য হতাহত হয়।
এদিকে গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার, ইয়েমেনের শাবওয়াহ ও আবিয়ান রাজ্যে ২টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। প্রথম অভিযানটি আবিয়ান রাজ্যের মুদিয়া এলাকায় আল-মাশুশি নামক একটি মিলিশিয়া দলকে টার্গেট করে পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। এতে মিলিশিয়া বাহিনীর অন্তত ৬ সৈন্য নিহত এবং আরও ৮ সৈন্য আহত হয়। সেই সাথে মিলিশিয়া বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস কারতে সক্ষম হন মুজাহিদগণ।
এদিন মুজাহিদগণ শাবওয়াহ রাজ্যের আল-মুসাইনা এলাকায় দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন। বিস্ফোরক ডিভাইস দ্বারা পরিচালিত এই অভিযানটি আরব আমিরাতের ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনীর একটি পদাতিক দলকে টার্গেট করে চালানো হয়। এতে ৩ মিলিশিয়া সৈন্য নিহত এবং আরও কতক মিলিশিয়া সদস্য আহত হয়।
উল্লেখ্য যে, ইয়েমেন যুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে শুরু থেকেই গোয়েন্দা ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই সহায়তার লক্ষ্য ছিলো ইয়েমেনে ইসলামি শরিয়াহ্ শাসিত অঞ্চলগুলোর সুশৃঙ্খল অবকাঠামো ভেঙে দেওয়া, এবং এখানকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নির্মূল করা। ফলে আরব আমিরাত ও এর মিলিশিয়া বাহিনীগুলো শিয়া হুতিদের পরিবর্তে মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে হামলা চালাতে শুরু করে এবং এসকল এলাকাগুলো সম্পূর্ণ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরফলে আরব আমিরাত ও এর ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনীগুলো মুজাহিদদের বৈধ হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত হতে শুরু করে।