ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২৯ এপ্রিল, সোমবার এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে সংঘর্ষে আরও দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। ইফতাহ ব্রিগেডের ৯২৩২ তম ব্যাটালিয়নের ইডো আভিভ এবং কারমেলি ব্রিগেডের ২২৩ তম ব্যাটালিয়নের কাল্কিদান মেহারিম, উভয়ই রবিবার কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, নেটজারিম করিডোর এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে সংঘর্ষের সময় বিস্ফোরণের ফলে ২২৩ তম ব্যাটালিয়নের আরেকজন ইসরায়েলি সৈনিক গুরুতর আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড রবিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা মধ্য গাজা উপত্যকার আল-মুগরাকা এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীকে অতর্কিত আক্রমণ করেছেন।
এক বিবৃতিতে কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে যে, আল-কাসসামের যোদ্ধারা মধ্য গাজা উপত্যকার আল-মুগরাকা এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে প্রলুব্ধ করে এবং বিস্ফোরক ডিভাইস ও F16 রকেট ব্যবহার করে একটি মাইনর অ্যাম্বুশ করে। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্য হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর আগে রবিবার, আল-কাসসাম বলেছিলেন যে তাদের যোদ্ধারা “গাজা শহরের দক্ষিণে নেটজারিম অক্ষে শত্রুর কমান্ড সদর দপ্তরে ভারী-ক্যালিবারের মর্টার শেল দিয়ে গোলা বর্ষণ করেছে।”
সোমবার, আল-কাসসাম ব্রিগেড আর ঘোষণা করেছে যে, দক্ষিণ লেবানন থেকে তারা সূত্রর ৭৬৭ তম ইস্টার্ন ব্রিগেডের সদর দফতরে বোমা হামলার চালিয়েছে। উত্তর ইসরায়েলের জিবউর ক্যাম্প চালানো এই সিরিজ রকেট হামলার কারণ হিসেবে বিবৃতিতে গাজা ও পশ্চিম তীরে চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসন ও হামলার কথা বলা হয়েছে।
২৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে সেনাবাহিনী ২৬১ সেনা নিহত এবং আরও ১,৫৮৪ জনের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের সামরিক মুখপাত্র আবু উবাইদাহ বলেছেন যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেওয়া অনুমানগুলি “অবাস্তব” এবং হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।
তথ্যসূত্র:
1. Deadly Ambush – Two More Officers Killed in Gaza
– https://tinyurl.com/bdz8tksx