গাজায় জায়োনিস্ট আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেডের বীর যোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত গত ১৭ ও ১৮ মে, ৪৮ ঘন্টার তীব্র আক্রমণে অন্তত ১০১ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়েছে।
বিবরণ অনুযায়ী, আল-কাসসাম যোদ্ধারা গত ১৭ ও ১৮ মে, টানা ৪৮ ঘন্টা গাজার উত্তরের জাবালিয়া ও দক্ষিণের রাফাহ শহরে জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসকল অভিযানের সময় প্রতিরোধ যোদ্ধারা জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩টি দলকে অ্যান্টি-পার্সোনেল শেল দিয়ে বিল্ডিংয়ের নিচে এবং অন্য ৩টি দলকে টানেলের ভিতর বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন। এমনিভাবে জায়োনিস্ট বাহিনীর আরও ৩টি দলকে আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে ৩ জায়োনিস্ট সেনা অফিসারকে মুজাহিদগণ স্নাইপার রাইফেল দ্বারা স্নাইপ করেছেন। আর SAM-7 নামক ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারকেও লক্ষ্যবস্তু করেছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
এই অভিযানগুলো ছাড়াও জায়োনিস্ট বাহিনীর ২২টি সামরিক অবস্থানে মর্টার ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুজাহিদগণ। আর স্থানীয়ভাবে তৈরি আল-ইয়াসিন সহ অন্যান্য রকেট দ্বারা জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩১টি সাঁজোয়া যান, বুলডোজার ও ট্যাংক ধ্বংস করেছেন মুজাহিদগণ।
প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ এসকল অ্যাম্বুশ আর অতর্কিত আক্রমণে জায়োনিস্ট বাহিনীর অন্তত ১০১ সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্য থেকে ২০ জায়োনিস্ট সৈন্যের নিহত হওয়ার তথ্য সুনিশ্চিতভাবে নিশ্চিত করেছে আল-কাসসাম ব্রিগেড। তবে বাকি ৮১ জায়োনিস্ট সৈন্যের মধ্যে কত সেনা নিহত বা আহত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
এদিকে গাজায় জায়োনিস্ট আগ্রাসনের ২২৪ তম দিনে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তায় আল-কাসসাম মুখপাত্র আবু উবাইদাহ নিশ্চিত করেছেন যে, আল-কাসসাম যোদ্ধারা গত ১০ দিনে জায়োনিস্ট বাহিনীর ১০০টি সামরিক যানকে আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন।