সোমালিয়ায় শরিয়াহ্ শাসিত জুবা রাজ্যের একটি পাব্লিক স্কোয়ারে বিদেশি গোয়েন্দা এজেন্টদের একটি দলের উপর শরিয়াহ নির্ধারিত শাস্তি কার্যকর করেছে আশ-শাবাব প্রশাসন।
হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের মিডিয়া সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, গত ১৪ জুলাই রবিবার, জুবা রাজ্যের জামেহ জেলার ইসলামি আদালত ৫ ব্যক্তির উপর শরয়ী হদ কার্যকর করার নির্দেশ জারি করেছে। আদালতের এই নির্দেশের পর মুজাহিদগণ অপরাধীদেরকে একটি পাবলিক স্কয়ারে একত্রিত করেন। তখন বিচারপতি জনসম্মুখে আসামিদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলি পড়ে শোনান।
বিচারপতির বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, উক্ত ৫ আসামির কয়েকজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া এবং মোগাদিশু সরকারের উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিল, আর অন্যরা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে শরিয়াহ্ শাসিত অঞ্চলে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করতো। একই সাথে এই দলটি বিভিন্ন সময় বেসামরিক ও শাবাব প্রশাসনের অবস্থানে ড্রোন ও বিমান হামলার পিছনেও জড়িত ছিল, যেসব হামলায় অনেক বেসামরিক মুসলিম নিহত ও আহত হয়েছেন।
বিচারপতি জনসম্মুখে আসামিদের অপরাধগুলো স্পষ্টভাবে পড়ে শুনানোর পর, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ পাব্লিক স্কয়ারে উক্ত ৫ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হলো:
১- আলি হাসান ওসমান, বয়স ৪৩ বছর। মোগাদিশু সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রথম সারির কর্মকর্তা।
২- ওসমান আবদুর রহমান ওমর, বয়স ৪৪ বছর। কাজ, সোমালিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কেনিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ক।
৩- মোহাম্মদ হাসান (বিদেশি), বয়স ২৬ বছর। জুবাল্যান্ড প্রশাসনের চৌকস গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
৪- ইউসুফ রুগো, বয়স ৩২ বছর। কেনিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার গুপ্তচর।
৫- ফারহান ওমর শেখ, বয়স ২৪ বছর। কেনিয়ান সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রথম সারির কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য যে, এটিই প্রথমবার নয় যে, আশ-শাবাব প্রশাসনের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সদস্যরা শত্রু বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বন্দী করেছেন এবং তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। বরং আশ-শাবাব তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন শরিয়াহ্ শাসিত অঞ্চলে বিদেশী গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সফল যুদ্ধ পরিচালনা করছেন। বন্দী শত্রু সদস্যদের তথ্যের উপর ভিত্তিতে অনেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও সদস্যকে নাস্তানাবুদ করেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ
الحمد لله