পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চল জালাজদুদ ও হিরান রাজ্যে বড়ধরণের ২টি সামরিক অভিযানে অন্তত ৪৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম শাহাদাহ এজেন্সির সূত্রে জানা যায়, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন গত ১৫ জুলাই উক্ত অভিযান দু’টি পরিচালনা করছেন। এদিন সকালে শাবাব মুজাহিদিন প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন হিরান রাজ্যের বোলুবার্দি শহরে। শহরটির উপকণ্ঠে শাবাব মুজাহিদিন ও মোগাদিশু বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়। এক পর্যায়ে মোগাদিশু বাহিনী শহরের কেন্দ্রের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
তবে মোগাদিশু বাহিনী পিছু হটার আগ পর্যন্ত শাবাব মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে ১ অফিসারসহ অন্তত ১২ সৈন্য নিহত এবং আরও ১৬ সৈন্য আহত হয়।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন ও মোগাদিশু সরকারি বাহিনীর মধ্যে সবচাইতে ভারী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে জালাজদুদ রাজ্যের ইলাদির শহরের উপকণ্ঠে। সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে শহরটির উপকণ্ঠে শাবাব নিয়ন্ত্রিত ওয়ানিল এলাকার দিকে মোগাদিশু বাহিনী অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে।
সূত্রমতে, মোগাদিশু বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার খবর পেয়েই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শাবাব মুজাহিদিন ভারী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেন। ফলে শত্রু বাহিনী শহরের উপকণ্ঠে আসা মাত্রই শাবাব যোদ্ধারা তীব্র আক্রমণ চালাতে শুরু করেন এবং তা টানা কয়েক ঘন্টা ধরে চলতে থাকে। এসময় মুজাহিদদের ভারী আক্রমণে মোগাদিশু বাহিনীর কমপক্ষে ২৭ সৈন্য নিহত এবং আরও ৩৮ সৈন্য আহত হয়।
মোগাদিশু বাহিনী শাবাবের তীব্র আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়ার পর উক্ত এলাকা থেকে পালাতে বাধ্য হয়। এসময় মোগাদিশু বাহিনী অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের পাশাপাশি নিজদের নিহত সেনা সদস্যদের মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়।
পরে আশ-শাবাব প্রশাসন তাদের মিডিয়া শাখা আল-কাতাইব ফাউন্ডেশন থেকে গত ১৭ জুলাই এই অভিযানের একটি ভিডিও ও ফটো রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে ওয়ানিল এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষে নিহত মোগাদিশু সরকারি বাহিনীর সেনা সদস্যদের ছবি দেখানো হয়। সেই সাথে এই অভিযান শেষে শাবাব মুজাহিদিনের হস্তগত হওয়া মোগাদিশু বাহিনীর বিপুল সংখ্যক অস্ত্রের দৃশ্যও দেখানো হয়।