দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন চলছে। এসময় আন্দোলনকারীদের উপর আওয়ামী লীগ ও সরকারি সশস্ত্র বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা যায়, আজ সারাদেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সদস্যরা ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালিয়েছে। এতে ফেণীতে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৩ জন, পাবনায় ২ জন, সিলেটে ২, কুমিল্লায় ১ জন, জয়পুরহাটে ১ জন, রাজধানী ঢাকায় ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ এখন পর্যন্ত মোট ৩২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
এদিকে আন্দোলনে গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আজ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে সরকারি সশস্ত্র বাহিনী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর গুলি করার সাংবিধানিক বৈধতা পেল।
অন্যদিকে আবারও বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি পরিষেবা। টেলিযোগাযোগ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের পক্ষ থেকে সবগুলো মোবাইল অপারেটরকে ফোরজি পরিষেবা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন পর্যন্ত সচল আছে। তবে সেটাও বন্ধের নির্দেশনা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. সংঘর্ষে ১৩ জেলায় নিহত ৩২
– https://tinyurl.com/3nudxmr8