ভারতের উত্তরখন্ডে গরুর মাংস বহন করার অভিযোগ তুলে এক মুসলিম যুবককে হত্যা করেছে পুলিশ। গত ২৬ আগস্ট, রবিবার উত্তরখন্ডের হারেদওয়ার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
ওয়াসিম নামক নিহত ওই যুবকের ভাই আলাউদ্দিন গঙ্গানহর কোতেয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি জানান, বোনের বাড়ি থেকে ফেরা পথে তার ভাইকে কোনো কারণ ছাড়াই থামিয়ে মারধর করে পুলিশ। মারধর করার পর তাকে পুকুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে পুকুরেই মৃত্যুবরণ করে ২৪ বছর বয়সী ওই মুসলিম যুবক।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়রা উদ্ধার করতে চাইলে তাদেরকে বাধা দেয় পুলিশ। এমনকি যারা উদ্ধারের চেষ্টা করে তাদেরকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেয় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।
নিহত ওয়াসিমের ভাই আলাউদ্দিন স্থানীয় সংবাদমাধ্যকে জানান, “আমি জানি না কত নির্দয়ভাবে তাকে মারা হয়েছে। তবে তার মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, এক চোখ ফুটো এবং নাকে ও মুখে আঘাতের দাগ ছিলো।”
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো এফআইআর(FIR) গ্রহণ করেনি পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে আটকানোর অভিযোগে নিহত ওয়াসিমের ভাই আলাউদ্দিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর(FIR) দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশকে আটকে রাখার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আলাউদ্দিন। তিনি বলেন পুলিশের সথে সেদিন এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
নিহত ওয়াসিমের পরিবার জানায়, গরু বিষয়ক ভুয়া মামলার জের ধরে বেশকিছুদিন যাবৎ তাদের পরিবারের সদস্যদের টার্গেটে রেখেছে পুলিশ। গত ছয় মাস আগে ওয়াসিমের অপর এক ভাইকে গরু পাচারের অভিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এনকাউন্টারের নাম করে তার পায়ে গুলি করেছিল। ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশের নজরে পড়ে বলে জানায় তারা।
তথ্যসূত্রঃ
1.Family Says Cops Kill Muslim Youth in Haridwar; Police Claim Accidental Death
-https://tinyurl.com/46yyz5zc