
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সম্প্রতি একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। দেশটি ঘোষণা করেছে যে, তারা আইসিসি বা রোম চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি আইনি বাধ্যবাধকতা স্বীকার করে না।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান এই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর ইতিহাস স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, এটি ন্যায়বিচার এবং নিরপেক্ষতার মূলনীতির অনুসরণ না করে বরং রাজনৈতিক পক্ষপাতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান, যা অন্যান্য দেশের সাথে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং নীতি-ভিত্তিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়, এমন ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট পদ্ধতির সঙ্গে একমত নয়।
এই প্রতিষ্ঠানটি আফগানিস্তানে দখলদার বাহিনী ও তাদের মিত্রদের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে গ্রাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাসপাতাল, এবং বিবাহ অনুষ্ঠান ধ্বংস। হাজার হাজার নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বন্দিকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এই ‘আদালত’ কোনো তদন্ত শুরু করেনি বা এসব দমন করতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
অসংখ্য দেশে, বিশেষত আফগানিস্তানে, লাখ লাখ নিরপরাধ নাগরিক—বিশেষত নারী ও শিশু—নির্যাতন এবং সহিংসতার শিকার হয়েছে। কিন্তু এই ‘আদালত’ এমন চরম অন্যায়গুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্বের অনেক বড় শক্তিধর দেশ আইসিসির সদস্য নয়, আর এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার অধীনে থাকা আফগানিস্তানের জন্য অযৌক্তিক, কারণ এটি পুরো বিশ্বের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না।
এই সব বিষয় বিবেচনায় রেখে, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, তারা রোম চুক্তির অধীনে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা স্বীকার করে না এবং পূর্ববর্তী প্রশাসনের এই চুক্তিতে যোগ দেওয়াকে আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ ও অকার্যকর বলে বিবেচনা করে।
তথ্যসূত্র:
1. Islamic Emirate Declares Stance on ICC
– https://tinyurl.com/2p3j597v