মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে এবং জাতিগতভাবে যখন আল্লাহর অবাধ্য হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন আযাব প্রেরণ করেন। যাতে তাঁর বান্দারা তাঁর দিকে ফিরে আসে। পূর্ববর্তী জাতিরাও যখন আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিল তখন তাদের উপরও বিভিন্ন আযাব পাঠিয়ে ছিলেন। যা আল্লাহ তায়ালা সূরা আরাফে বলেছেন,
فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ ٱلطُّوفَانَ وَٱلْجَرَادَ وَٱلْقُمَّلَ وَٱلضَّفَادِعَ وَٱلدَّمَ ءَايَـٰتٍۢ مُّفَصَّلَـٰتٍۢ فَٱسْتَكْبَرُوا۟ وَكَانُوا۟ قَوْمًۭا مُّجْرِمِينَ [٧:١٣٣]
সুতরাং আমি তাদের উপর পাঠিয়ে দিলাম দুর্যোগ, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রভৃতি বহুবিধ নিদর্শন একের পর এক। তারপরেও তারা গর্ব, অহংকারে মেতে রইলো এবং তারা ছিল বড়ই অপরাধ প্রবণ সম্প্রদায়। সূরা আরাফ:১৩৩
এখানে মূল শব্দ হচ্ছে قُمَّلَ (কুম্মালু)। এর কয়েকটি অর্থ হয়। যেমন উকুন, ছোট মাছি, ছোট পংগপাল, মশা, ঘুণ ইত্যাদি।
ডেঙ্গু, কল্লাকাটা,গুজব, বন্দুকযুদ্ধ, আর এসব নিয়ে জাতির অথর্ব কান্ডারিদের হাসি তামাসা হচ্ছে এই জাতির উপর আল্লাহ তায়ালার গজব।
বাংলা ট্রিবিউনের সংবাদ সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে এডিস মশা বেড়ে যাওয়ার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সে বলেছে ‘এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ডেঙ্গু হঠাৎ করেই বেশি হওয়ার কারণ এডিস মশা বেশি বেড়ে গেছে। এই মশাগুলো অনেক হেলদি ও সফিস্টিকেটেড, তারা বাসাবাড়িতে বেশি থাকে।’
গত ২৫ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ‘ডেঙ্গু: চেঞ্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজন করে। এতে একজন বক্তা হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। তখন মন্ত্রী তার জবাবে এসব কথা বলে। সেমিনারের আয়োজন করে সোসাইটি অব মেডিসিন এবং ঢামেক মেডিসিন বিভাগ।
মন্ত্রী আরও বলে, এডিস মশার প্রডাকশন অনেক বেশি। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন আমাদের দেশে এসে বেড়েছে, সেভাবেই এই মসকিউটো পপুলেশনও বেড়েছে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।
নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে কটাক্ষ করে এরূপ মন্তব্য করে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সে বলেছে, সাংবাদিকদের জানতে হবে, দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫-২০ জন মারা যায়, সাপের কামড়ে মারা যায় ১০ জন, হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় শত শত লোক। সে সব খবর আমরা রাখি না। কিন্তু গত কয়েক মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছে মাত্র ৮ জন।( যদিও বাস্তবে ডেঙ্গু জ্বরে হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক) আসলে তাদের কাছে জনগণের রক্তের কোন মূল্য নাই তাই তাঁদের কাছে মাত্র ৮ জন মনে হয়।