ভারতের লোকসভায় সদ্য পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে দেশটিতে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ডাকে এই বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ১১ ঘন্টার সর্বাত্মক হরতালও পালিত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরায় ১২ ঘন্টার জন্য মোবাইল-ইন্টারনেট এবং এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কথিত রাজ্য সরকার। খবর এনডিটিভির।
মঙ্গলবার আগরতলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারপরেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সবক’টি ছাত্র সংগঠন মিলেই এদিন ওই অঞ্চলের সাতটি রাজ্যে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে। বিক্ষোভে-প্রতিবাদে স্তব্ধ হয়ে গেছে গুয়াহাটি থেকে আগরতলা।
সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডেমন্ট বিল বা সিএবি নামে পরিচিত এই বিতর্কিত বিলটির বিরুদ্ধে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল প্রতিবাদে উত্তাল গত বেশ কিছুদিন ধরেই – আর মঙ্গলবার তা তুঙ্গে পৌঁছায়।
অল অরুণাচল প্রদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হাওয়া বাগাংয় বলেন, সরকার নিজেদের রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে এই বিল এনেছে। আমরা উত্তর-পূর্বের লোকজন নিজেদের ভারতীয় ভাবি, দেশপ্রেমী ভাবি। সন্ত্রাসী অমিত শাহ্ও যদি নিজেকে ভারতীয় ভাবে, তার উচিত হবে এটি প্রত্যাহার করে নেয়া।
আসামের গুয়াহাটিসহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গার জনজীবন থমকে যায়, বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনের তরফে হরতাল ডাকা হয়। মূল রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন বিক্ষোভকারীরা। উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবরোধ করার কারণে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বিল পাসের পরদিনই আসামের বিভিন্ন অংশেও ব্যাপক প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে, স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি বিধানসভা ও রাজ্যের সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।
ডিব্রুগড় জেলায় সিআইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। দুলিয়াজানে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হন। পরে সন্ধ্যা ৫টায় বন্ধ প্রত্যাহার করা হয়।