দরপতন থামছে না পুঁজিবাজারে, হতাশ বিনিয়োগকারীরা

0
698
দরপতন থামছে না পুঁজিবাজারে, হতাশ বিনিয়োগকারীরা

বড় দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বুধবারও বড় ধরনের পতন হয়েছে সূচকের।

এদিন দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৮ পয়েন্টে।

পরপর চারদিন দরপতনে ডিএসইর প্রধান এ সূচক কমেছে প্রায় ২৩০ পয়েন্ট।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক প্রায় ১২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ কমে হয়েছে ১২ হাজার ৮৮১ পয়েন্ট।

২০১৯ সালের মন্দাভাবেই ২০২০ সাল শুরু হয়েছে। দরপতনের ধাক্কায় ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী হতাশ-ক্ষুব্দ।

দরপতনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর পতন আরো বেগবান হয়েছে। রোববার থেকে টানা চারদিন বড় ধরনের পতন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে।

২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে ‘খারাপ’ অবস্থা গেছে ২০১৯ সাল।

কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আবার পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। ২০১৯ সালে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও তা স্থায়ী হয়নি। পতনের ধাক্কায় বাজার একেবারে তলানীতে নেমে যায়। সেই মন্দার কবল থেকে বের হতে পারছে না বাজার। টানা পতনে এক বছরের মধ্যে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে ৭১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বুধবার লেনদেনের শুরুতে প্রথম ২০ মিনিট সূচক একটু বাড়লেও তা ধরে রাখতে পারেনি। ২০ মিনিট পরেই সূচক পত শুরু হয়। লেনদেন শেষ হওয়া পযন্ত চলে পতন।

সিএসইর অবস্থাও একই। প্রথম আধাঘন্টা সূচক ভাল থাকলেও পরের সাড়ে দিতন ঘন্টা পতনের ধারাতেই কেটেছে।

সূচক পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে এদিন লেনদেনও কমেছে আগের চেয়ে। ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেন হয়েছে ২৭৯ কোটি টাকা যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামেও লেনদেন সামান্য কমে হয়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা।

সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধনমোর শ্রম সংস্কার নীতিতে মন্দায় বাড়ছে বেকারত্ব, ভারতজুড়ে ধর্মঘটে লাখো শ্রমিক
পরবর্তী নিবন্ধগত বছর সড়কে ঝরেছে ৫২১১ মানুষের প্রাণ