
সীমান্তে ক’দিন পরপর ধারাবাহিকভাবে চলছে বাংলাদেশি হত্যা। এবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পাখিউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে জামাল উদ্দিন (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
গুলি করে হত্যার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জামাল নারায়ণপুর ইউনিয়নের কালাইয়ের চর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে গরু আনতে কয়েকজনের সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে ভারতের আসামের অভ্যন্তরে মন্ত্রীরচরে যান জামাল। এ সময় বিএসএফ তাদের গুলি ছুড়লে জামালের পাঁজরে লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। বিকেল ৪টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
স্বজনদের দাবি, গুলিবিদ্ধ জামালকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদরে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। পরে তার মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বিএসএফ গুলিতে নিহত হয়েছেন জামাল।
নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহাদৎ হোসেন বলেন, শনিবার ভোরে পাখিউড়া সীমান্ত পথে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে জামাল আহত হন। খবর পেয়ে তার বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিকেল ৪টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, সীমান্ত পথে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন জামাল। বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল তার পরিবার।
কচাকাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নেয়ার পথে জামালের মৃত্যু হয়। বিকেলে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, নারায়ণপুর সীমান্তের পাখিউড়া বর্ডারআউট পোস্টের (বিওপি) অধীন সীমান্তে এক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়। শুনেছি এতে জামাল নামে বাংলাদেশি এক রাখাল গুলবিদ্ধ হয়।