পেঁয়াজ-রসুন নিয়ে অস্থিরতা কাটতে না কাটতেই দাম বাড়তে শুরু করেছে চালের। দেশে কোনো বন্যা, খরা, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রধান এ খাদ্যদ্রব্যটির দাম দুই সপ্তাহে প্রতিকেজিতে চার থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখালেও বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজ-রসুনের মতো চাল নিয়েও চলছে কারসাজি।
রাজধানীর চালব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে চালের সংকট নেই। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও চালকল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজিতে সর্বোচ্চ ছয় টাকা পর্যন্ত এখন দাম বাড়তি।
রাজধানীর চালের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে সরু চালের মধ্যে মানভেদে নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৬০ ও মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা মানভেদে ৪৪ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আটাশ ৪০ থেকে ৪২ টাকা। মোটা চালের পাইজাম ৩৮ থেকে ৪০ ও স্বর্ণা ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল এসব চাল। এ ছাড়া পোলাও চালেরও দাম বেড়েছে।
কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায়। গত সপ্তাহেও যা বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।
মালিবাগ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. খোরশেদ জানান, খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে না। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়, তাই বাড়তি দামে চাল বিক্রি করতে হয় আমাদের। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।
একই বুলি পাইকার ও আড়তদারদের মুখেও। কারওয়ানবাজারের চালের পাইকারি প্রতিষ্ঠান লাকসাম ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী মো. মোশাররফ হোসেন জানান, দুই সপ্তাহ আগে প্রথমে মিনিকেট চালের দাম বাড়তে শুরু করে। পরে একে একে সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে। বর্তমানে মিনিকেটের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ২ হাজার ৩৫০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। ভালো মানের নাজিরশাইলের বস্তা ৩ হাজার টাকা এবং মাঝারি মানের নাজিরশাইলের বস্তা ২ হাজার ৪০০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল যথাক্রমে- ২ হাজার ৭০০ এবং ২ হাজার ৩০০ টাকা। এ ছাড়া ভালো মানের পোলাওর চালের বস্তার দাম বর্তমানে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা। খবরঃ আমাদের সময়
একই বাজারের আরেক পাইকারি প্রতিষ্ঠান জনতা রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী ইব্রাহীম খলিল বলেন, দাম আমাদের হাতে নেই। চালকল মালিকদের কাছ থেকে বাড়তি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া মিনিকেট চাল এখন শেষের দিকে। তাই দাম বেড়েছে। আগামী বৈশাখের আগে দাম কমবে না।
ভাই কি মন্তব্য করবো আমি তো মনে করি সমস্য গুড়ায় গুড়া না উঠালে গাছ মরবে না