সিরিয়ার কসাইখ্যাত শিয়া আসাদ সরকার ১১০ জন ফিলিস্তিনি নারীকে তার গোপন কারাগারে আটক করে রেখেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে এ সকল খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম “মিডল ইস্ট মনিটর “।
লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের অ্যাকশন গ্রুপ (এজিপিএস) প্রকাশ করেছে যে, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোপন কারাগারে কমপক্ষে ৪৮৬ জন ফিলিস্তিনি নারী মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩৪জনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। আরো ১১৪জনকে বন্দী করে রেখেছে বাশার বাহিনী।
মানবাধিকার সংস্থা বলেছে যে, তারা বিশ্বাস করে সম্পূর্ণ যুদ্ধজুড়ে নিহত হয়েছেন এমন ফিলিস্তিনি নারীর সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ সরকার তাদের নাম গোপন রেখেছে এবং তাদের মামলাগুলো বিনা নোটিশে রেখে দিয়েছে। পাশাপাশি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সন্ত্রাসী সরকারের হিংস্র নজরে পড়ার ভয়ে স্বজনদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে।
সংস্থাটি প্রাক্তন ফিলিস্তিনি মহিলা বন্দীদের বিবরণ তুলে ধরে বলেন যে, তাদের আটককালে নিয়মিত প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল, যার মধ্যে লোহার লাঠি, বৈদ্যুতিক শক এবং অকথ্য যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ছিল।
সন্ত্রাসী শিয়া আসাদ সরকার এবং তার কুখ্যাত নুসাইরি বাহিনী নির্যাতন চালানোর জন্য যে কৌশলগুলো ব্যবহার করেছিল তা বহু আগে থেকেই জানা গেছে এবং কারাগারের ভয়াবহতা, নির্যাতনের নথি অনেক সংস্থা নথিভুক্ত করেছে, আর প্রাক্তন বন্দীদের থেকে উদ্ধার করা গেছে আসাদ বাহিনীর কারাগারের বহু গোপন তথ্য।
এজিপিএসের তথ্যমতে, সিরিয়া যুদ্ধের শুরু থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত সিরিয়ায় ৪,০১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।