ভারতে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। মুম্বাইয়ের করোনা হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে সারি সারি মরদেহ পড়ে আছে। শয্যা সঙ্কটে রোগীদের মেঝেতে ঘুমানোর নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিনা সে ব্যাপারে প্রমাণ দেখাতে না পারায় বিনা-চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন রোগীরা। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ওয়ার্ড করা হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যা হতে না হতেই সেসব ওয়ার্ড করোনা রোগীতে ভরে যাচ্ছে।
এমনই চিত্র দেখা গেছে ভারতের এই মহামারির প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের করোনা হাসপাতালগুলোর। মুম্বাইয়ের হাসপাতালের কর্মীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় জনবলের অভাবে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের সরকারি কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সাদ আহমেদ বলেন, আমরা প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ওয়ার্ড চালু করছি। কিন্তু দিনের শেষে কোভিড-১৯ রোগী দিয়ে সেগুলো পূর্ণ হচ্ছে। বর্তমানে এটা অত্যন্ত খারাপ অবস্থা। বর্তমানে সব ওয়ার্ডই কোভিড-১৯ ওয়ার্ড এবং ধারণক্ষমতার পুরোটাই রোগী দিয়ে পরিপূর্ণ।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। নতুন করে সংক্রমণের জেরে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৫ জন। এরমধ্যে ৯৩ হাজার ৩২২জন রয়েছে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৯১ হাজার ৮১৯ জন। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রালয়ের তরফে এই খবর সামনে এসেছে।
গোটা বিশ্বে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নিরিখে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। ভারতে এক সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় ভারত করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ইতালির পরেই বিশ্বের মধ্যে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে।