আল-ফাতাহ্ অপারেশনের ধারাবাহিকতায় মুরতাদ কাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে ৫টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন তালেবান মুজাহিদগণ। গত ১৮ নভেম্বর মুজাহিদদের পরিচালিত এসব হামলায় ৫৩ এরও অধিক সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৮ নভেম্বর বুধবার সকাল ৯ টায়, ইমারতে ইসলামিয়ার জানবাজ তালেবান মুজাহিদিন ফরিয়াব প্রদেশের কারমাকুল জেলার ৩টি অঞ্চলে মুরতাদ কাবুল সরকারের অপারেশনাল ফোর্সের উপর বিশাল আকারের সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছেন। এসময় মুজাহিদগণ ভারী ও হালকা অস্ত্র দ্বারা তীব্র হামলা চালান, যা ঐদিন দুপুর আড়াইটা অবধি ছিলো।
মুজাহিদদের তীব্র হামলার ফলে, ৩টি এলাকা এবং জেলা বাজার পুরোপুরি মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এসময় মুজাহিদদের হামলায় নিহত হয় জেলা পুলিশ প্রধান (সাফার রাইস) সহ ১৩ মুরতাদ সৈন্য ও পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছে আরো ৯ এরও অধিক, ধ্বংস করা হয়েছে মুরতাদ বাহিনীর ৪টি ট্যাঙ্ক।
এই হামলার সময় একজন মুজাহিদ শহীদ এবং দু’জন মুজাহিদ আহতও হয়েছেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার ও বুধবার মধ্যরাতে লাগবাগের ডান্ডি নামক জেলার জালখান এলাকায় অবস্থিত মুরতাদ কাবুল সেনাদের একাধধিক চৌকি টার্গেট করে হামলা চালিয়েছেন তালেবান মুজাহিদিন। যার ফলে ৪টি চৌকি বিজয়, কমান্ডারসহ ১০ সৈন্য নিহত এবং ১৫ সৈন্যকে বন্দী করেছেন মুজাহিদগণ। ১টি ট্যাঙ্ক, ১টি রেঞ্জার গাড়িসহ ১৫টি ভারী যুদ্ধাস্ত্রও এসময় মুজাহিদগণ গনিমত লাভ করেছেন।
অন্যদিকে হেরাত প্রদেশের পাশ্তুন এলাকায় কাবুল বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে ৪ সৈন্য নিহত এবং ৬ সৈন্য আহত হয়েছে। অন্য সৈন্যরা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়েছে। তবে এখানে একজন মুজাহিদ আহত হয়েছেন।
এমনিভাবে জাবুল প্রদেশের শাহজউয়ী জেলায় অবস্থিত মুরতাদ বাহিনীর একটি চৌকিতে তীব্র হামলা চালিয়েছেন তালেবান মুজাহিদগণ। যার ফলে একটি চৌকি বিজয়, ২টি চৌকি ও ২টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও নিহত হয়েছে কাবুল বাহিনীর ১২ মুরতাদ সৈন্য।
অপরদিকে নিমরোজ প্রদেশের আরওয়ান্দাদ জেলায় দুপুর ২টায় মুরতাদ বাহিনীর একটি চেকপোস্টে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে মুরতাদ বাহিনীর ৩ সৈন্য নিহত এবং ৬ সৈন্য আহত হয়েছে।