যশোরের বাঘারপাড়ায় উপজেলা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টায় দিকে উপজেলার ইন্দ্রা বাজারে এ ঘটে ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- জহুরুল বিশ্বাসের ছেলে আবদুর রব (৪৫), শরিফুল ইসলাম (৪০) ও ফেরদৌস (৩০), মৃত খয়বার মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম (৫০), মৃত মাহতাব মোল্লার ছেলে শুকুর আলী (৩৫) এবং মোকাম মোল্লার ছেলে বাহারুল ইসলামকে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আবদুর রব ও রবিউল ইসলামকে পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার নাসিম রেজা জানান, আবদুর রব ও রবিউল ইসলামের মাথা ও মুখমণ্ডলে আঘাত লেগেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের যশোরে রেফার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী নারিকেলবাড়িয়া থেকে ইন্দ্রা বাজারে এসে কর্মী-সমর্থকদের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক তরিকুল ইসলামের সাথে তার তর্ক হয়। এক পর্যায়ে নৌকার সমর্থকরা দিলু পাটোয়ারীকে আটকে রাখার চেষ্টা করেন। তখন দিলুর সমর্থকরা তাকে উদ্ধার করতে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাসিম রেজা জানান, আব্দুর রব ও রবিউল ইসলামের মাথায় আঘাত লেগেছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।
দিলু পাটোয়ারী জানান, নারিকেলবাড়িয়া থেকে উপজেলার ইন্দ্রা বাজারে আসার সাথে সাথে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তার সাথে তর্কে জড়িয়ে মারমুখী আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তাকে আটকে রাখলে তার সমর্থকরা উদ্ধার করতে আসলে এ সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথীর দেবর জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর দিলু পাটোয়ারীর সমর্থকেরা হামলা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় সাত-আটজন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের সমর্থক জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কালের কণ্ঠ
এই দেশে আর শান্তি নাই
Desh akhn tagot er kase santi ki kore ashbe