পশ্চিম আফ্রিকা | আল-কায়েদার নতুন আমীর নিযুক্ত হলেন শাইখ আবু ইউসূফ আল-আন্নাবী হাফিজাহুল্লাহ্

2
1158
পশ্চিম আফ্রিকা | আল-কায়েদার নতুন আমীর নিযুক্ত হলেন শাইখ আবু ইউসূফ আল-আন্নাবী হাফিজাহুল্লাহ্

আল-কায়েদা ইসলামিক মাগরিব শাখা এর শুরা কর্তৃক নতুন আমীর নিযুক্ত হলেন শাইখ আবু ইউসূফ আল-আন্নাবী হাফিজাহুল্লাহ্।

গত ৬ মাস পূর্ব ক্রুসেডার ফ্রান্স আল-কায়েদা ইসলামিক মাগরিবের প্রাক্তন আমীর শহিদ শাইখ আবু মূস’আব আব্দুল ওয়াদুদ রহিমাহুল্লাহ’র গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। যার ফলে তিনি ও তাঁর কয়েকজন সাথী শাহাদাত বরণ করেন। এর কিছুদিন পরেই অফিসিয়ালভাবে শাইখের শাহাদাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে আল-কায়েদা। তবে শাইখের শাহাদাতের কোন ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি ‘একিউআইএম’। প্রথমবারের মত গত ২১ নভেম্বর শাখাটির অফিসিয়াল ‘আল-আন্দুলোস’ মিডিয়া কর্তৃক এক ভিডিও বার্তায় শাইখের শাহাদাতের ছবি প্রকাশ করা হয়।

সেই সাথে শাইখের শাহাদাতের দীর্ঘ ছয় মাস পর শাখাটির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শাইখ আবু নোমান আশ-শানকিতী হাফিজাহুল্লাহ্ দীর্ঘ ২০ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তায় শুরা কর্তৃক নিযুক্ত নতুন আমীরের নাম ঘোষণা করেছেন। শুরা সদস্যদের সর্বসম্মতীতে শাখাটির নতুন আমীর নিযুক্ত হয়েছেন শাইখ আবু ইউসূফ আল-আন্নাবী হাফিজাহুল্লাহ্। যিনি ইতিপূর্বে শাখাটির শুরা সদস্য ও উচ্চপদস্থ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ১৪১৩ হিজরীতে শাইখ প্রথমবারের মত মুজাহিদদের বরকতময়ী কাফেলায় শামীল হয়েছিলেন। প্রজ্ঞাবান আলেম হওয়ার সুবাদে তখন থেকেই তিনি দীর্ঘ সময় যাবৎ জিহাদের মায়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।

ভিডিও বার্তাটিতে কয়েকটি ভুল প্রচারণারও জবাব দেওয়া হয়েছিল।

যেমন, বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল যে, মুজাহিদগণ ২০/৬ ও ৪ ইউরোপীয় বন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন, যার বিনিময়ে ২০০ এরও অধিক মুজাহিদ মুক্তি পেয়েছিলেন। সেখানে মুজাহিদগণ বলেছেন যে, তাঁরা মাত্র ২ জন ইউরোপীয় বন্দীর বিনিমেয়েই ২০০ এরও অধিক মুজাহিদকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন।

এছাড়া সুইস জিম্মির মৃত্যুর কারণও স্পষ্ট করেছে আল-কায়েদা। যেখানে হলুদ মিডিয়াগুলো প্রচার করছে যে, বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরেও আল-কায়েদা একজন সুইস জিম্মিকে হত্যা করেছে। এবিষয়ে আল-কায়েদা শাখা ‘একিউআইএম’ অভিযোগ করেছে যে, ক্রুসেডার ফ্রান্স প্রথমে “বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে জিম্মিদের মামলাটির অবসান ঘটাতে চেষ্টা করেছিল”। অর্থাৎ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্ত করতে চেয়েছিল। যার ফলে সুইস জিম্মির মৃত্যুর হয়েছিল।

2 মন্তব্যসমূহ

Leave a Reply to মেহেদী হাসান প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করছে চীন
পরবর্তী নিবন্ধড্রামভর্তি সেই নারীর লাশের পরিচয় মিললেও শনাক্ত হয়নি হত্যাকারী