পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের জানবায মুজাহিদদের হামলায় বেশ কিছু মুরতাদ সেনা ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত ও আহত হয়েছে।
বিবরণ অনুসারে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় দেশটির মুরতাদ সামরিক বাহিনীর উপর গত ২৮ নভেম্বর বেশ কিছু হামলা হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে ৩ মুরতাদ সদস্য নিহত এবং বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছে।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মাইন মাস্টার মুজাহিদিন তাদের প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন কারাক এলাকায়। যেখান নাপাক বাহিনীর কাশুপাল চেকপোস্ট লক্ষ্য করে মুজাহিদগণ হামলা চালিয়েছেন, এতে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত এবং চেকপোস্টটিও আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
একইদিন বান্নার টাউনশিপ এলাকায় একটি মাইন হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ, এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এমনিভাবে শনিবার দুপুরের দিকে বাজোর এজেন্সির ম্যামুন্দ সীমান্তে নাপাক সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হয় টিটিপির জানবাজ মুজাহিদদের। এতে এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। অপরদিকে টিটিপির সকল মুজাহিদই নিরাপদে ছিলেন।
অপরদিকে টিটিপির টার্গেট কিলার মুজাহিদিন বাজোর এজেন্সির ম্যামুন্দ সীমান্তে অভিযানের সময় এক এফআইইউ (FIU) কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেন। নিহত এফআইইউ আধিকারিকের নাম লতিফ, সে দীর্যদিন যাবৎ মুজাহিদদের টার্গেটে ছিলো।
এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার রাতে মুজাহিদিনরা মারদান থানা লক্ষ্যবস্তু করে সফল বোমা হামলা চালিয়েছেন, যার ফলস্বরূপ থানার একপাশের দেয়াল ধসে পড়ে।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি হাফিজাহুল্লাহ্ সমস্ত হামলার দায় স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত আড়াই মাস ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সামরিক বাহিনীর উপর হামলা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান।
আলহামদুলিলাহ