মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সোমালিয়া থেকে তার বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ক্ষমতায় থাকা শেষ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশাধীন সেনা প্রত্যাহারের সর্বশেষ ঘটনা।
গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সোমালিয়া থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে কিছু সেনা স্থানান্তরিত হবে, অন্যদিকে বাকি সৈন্যরা এই অঞ্চলটি পুরোপুরি ছেড়ে চলে যাবে। তবে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে কিছু মার্কিন সেনা অবস্থান করবে।
ক্রুসেডার আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের ফলে শনিবার থেকে তাদের সোমালিয় গোলামরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে শুরু করেছে এবং তাদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা ইতোমধ্যে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে এই সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছে।
পশ্চিমা সমর্থিত সোমালিয় গোলাম সরকারের সিনেটের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্য ইউসুফ বলেছে, “এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সোমালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের মার্কিন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক। মার্কিন বাহিনী সোমালিয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।”
সোমালিয় মুরতাদ বাহিনীর কর্নেল আহমেদ আবদুল্লাহ শেখ মার্কিন বাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত সোমালি বিশেষ বাহিনীর সেনা কমান্ডার হিসাবে ২০১২ অবধি দায়িত্ব পালন করেছিল। সে বলেছে, যদি সোমালিয়া থেকে মার্কিন সেনা স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, তাহলে হারাকাতুশ শাবাবের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে সোমালিয় বাহিনীর মাঝে বড়ধরনের প্রভাব পড়বে। যা সামরিক বাহিনীকে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার নামান্তর”।
তার কথামতে, সে মার্কিন বাহিনীর সাথে মিলে হারাকাতুশ শাবাবের বিরুদ্ধে অনেক লড়াই করেছে, যেসব লড়াইয়ের সময় দুই আমেরিকান এবং তার শতাধিক সৈন্য মারা গিয়েছিল। সে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, সোমালি বাহিনী মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করছে।
মাসখানেক আগে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন একটি হামলা চালিয়ে ক্রুসেডার আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CIA এর একজন উচ্চপদস্থ অফিসারকে হত্যা করেন। এ ঘটনার এক মাস পরে ট্রাম্প আদেশ দিয়েছে যে, জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে প্রবেশের কয়েকদিন আগেই অর্থাৎ জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তান এবং ইরাকসহ প্রতিটি দেশে মার্কিন সেনা সংখ্যা ২,৫০০-এ নামিয়ে আনা হবে।
বিশ্লেষকদের মতে ব্যয়বহুল এসব যুদ্ধে মুজাহিদদের কাছে মার্কিন বাহিনীর লজ্জাজনক পরাজয়ের ফলেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় মুজাহিদদের উত্থানকাল শুরু হয় নব্বইয়ের দশকে। এর অনেক বছর আগ থেকেই সোমালিয়ায় হস্তক্ষেপ করে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী। এসময় তারা সোমালিয়াজুড়ে অন্যায়ভাবে মুসলিমদের হত্যা ও তাদের সম্পদ চুরিসহ সকল ধরনের অপকর্ম শুরু করে । যার ফলে দখলদার মার্কিন বাহিনীর প্রতি ঘৃণা ও ক্রোধের জন্ম নিতে থাকে সাধারণ মুসলিমদের অন্তরে; তা ১৯৯৩ সালে আরো প্রকট আকার ধারণ করে। আর ঐ বছরই সোমালিয়ার মুজাহিদগণ রাজধানী মোগাদিশুতে হামলা চালিয়ে দখলদার মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের ১৮ সৈন্যকে জাহান্নামে পাঠান। বলা হয় যে, মূলত ঐবছর থেকেই সোমালিয়াজুড়ে দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে মুসলিমরা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। আর এসময় দখলদারদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় আল-কায়েদা।
ধীরে ধীরে এই প্রতিরোধ যুদ্ধে সোমালিয় মুসলিম যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। আল-কায়েদার নেতৃত্বে ইসলামের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকেন তাঁরা। এভাবে পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে আল-কায়েদা ও সোমালিয় জনগণের মাঝে ভ্রাতৃত্বের এক সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়। তারা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে এবং ইসলামি শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠা করতে এক মহান লড়াই শুরু করেন। গঠন করেন হারাকাতুশ শাবাব নামে একটি মুজাহিদ গ্রুপ। তাঁরা জিহাদ ও শাহাদাতের বায়াহ্ প্রদান করেন তানযিম কায়েদাতুল জিহাদের আমীর শহিদ শাইখ ওসামা বিন মুহাম্মাদ বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্’র হাতে।
সেই থেকে শুরু হওয়া ক্রুসেডার ও পশ্চিমা সমর্থিত মুরতাদ সরকারের বিরুদ্ধে সোমালিয় মুসলিমদের বরকতময়ী এই লড়াই আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে, বিইযনিল্লাহ। সোমালিয় মুসলিমরা সংখ্যা ও অস্ত্রস্বল্পতার কারণে বিজয়ের স্বপ্ন ছেড়ে দেননি, তাঁরা ক্লান্তও হয়ে পড়েননি। বরং বছরের পর বছর তাঁরা তথাকথিত সুপার পাওয়ার দাবিদার আমেরিকার ও তাদের গোলামদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ্ তা’আলার উপর বিশ্বাস রেখে দৃঢ়তার সাথে লড়াই চালিয়ে গেছেন। মহান আল্লাহ্ তা’আলাও মুজাহিদদেরকে নিরাশ করেননি। তিনি মুমিনদেরকে দেওয়া বিজয়ের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন।
মহান আল্লাহ তা’য়ালা মুজাহিদগণের মাধ্যমে ইতিপূর্বে ইরাক ও বর্তমানে সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রুসেডার বাহিনীগুলোকে লজ্জাজনক পরাজয় উপহার দিচ্ছেন এবং মুজাহিদদেরকে তাদের উপর বিজয়ী করছেন।
বর্তমানে সোমালিয়ার সিংহভাগ এলাকায় ইসলামি শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করেছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। বিবিসি-সহ বিভিন্ন কুফ্ফার মিডিয়াগুলোও আজ বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের তুলনায় অধিক শক্তিশালী ও সিংহভাগ অঞ্চলের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকারী হচ্ছে আল-কায়েদা শাখা হারাকাতুশ শাবাব। আর সোমালিয় মুরতাদ সরকারের চেয়েও অধিক পরিমাণ বাৎসরিক রাজস্ব পায় মুজাহিদগণের পরিচালিত ইসলামি সরকার।
হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের এই বিজয় অভিযান শুধু সোমালিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর শেকড় মজবুতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতেও। যার মধ্যে রয়েছে ক্রুসেডার রাষ্ট্র কেনিয়াও। কেনিয়াতে মুজাহিদগণ কয়েক হাজার বর্গ কি.মি অঞ্চল দখল করে সোমালি-কেনিয়ার মধ্যকার সীমান্ত ভেঙে দিয়েছেন। কায়েম করেছেন একটি ইসলামি ইমারত।
ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই এশিয়ার তালিবান এবং আফ্রিকার হারাকাতুশ শাবাবের সিংহদের গর্জনে সারাবিশ্বের কুফরি প্রাসাদ ধসে পড়বে।
—
লেখক: ত্বহা আলী আদনান, প্রতিবেদক, আল ফিরদাউস নিউজ।
ইনশাআল্লাহ আমরাই এ ক্রুসেডে বিজয় হবো।
Alhamdulillah,
Allahumman sur dina muhammadin sallallahu alaihi wasallam.
আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহু আকবার।
এটাই যেন শুনতে চাইছিলাম। ইনশা আল্লাহ অচিরেই কাশ্মীরও এইরকম একটা সুসংবাদ বহন করবে। আরাকানও এইরকম সুসংবাদ বহন করবে।
একদিকে মুসলিম উম্মাহের ইদাদ ও জিহাদের পথে আসা। এবং মুসলমানদের চরম শত্রু আমেরিকা ও তার মিত্র পাপের মিত্র ন্যেটো এদের লজ্জাজনক পরাজয়। জুলুমের সমাপ্তি ঘটছে আর প্রতিশোধএর আগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এটা যেন এক অন্যরকম এক আবেগ ভালোলাগা ভিতরে কাজ করাচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ আমরাই এ ক্রুসেডে বিজয় হবো।
বিজয় সমাগত! বি ইযনিল্লাহ।
جاء الحق وزهق الباطل.ان الباطل كان زهوقا
বিজয় আমাদের হবেই হবে।
ইনশাআল্লাহ