আমেরিকার গোলাম পাক সেনা ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের উপর ১৭৭টি হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। ২০২০ সালে মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত এসব হামলার বিবরণ প্রকাশ করেছে দলটি।
গত ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জারি করা একটি বিবৃতিতে ২০২০ সালে পাকিস্তান জুড়ে দলটির পরিচালিত অভিযানের বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। যা “ইনফোগ্রাফিক” আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
ইনফোগ্রাফিক অনুযায়ী, গত ২০২০ ঈসায়ী পাকিস্তানে সর্বমোট ১৭৭ টি হামলা চালিয়েছিল দলটি, যেখানে দেখা যায় এক মাসে (মার্চ) সর্বনিম্ন তিনটি আক্রমণ এবং সর্বোচ্চ ২৩ টি আক্রমণ (সেপ্টেম্বর) করা হয়েছে।
আরো দেখা যায় যে, সীমান্ত এলাকাগুলো ছাড়াও বেলুচিস্তান, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিসহ পাকিস্তানের সমস্ত প্রদেশেই দলটি হামলা চালিয়েছে। তবে উপজাতি ও সীমান্ত অঞ্চলে হামলার হার ছিল কয়েকগুণ বেশি।
যেমন বাজোর এজেন্সিতে ৬৯টি, উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ৪৮টি, মাহমান্দ এজেন্সিতে ১৩টি, বেলুচিস্তানে ৮টি এবং করাচিতে ৬টি হামলা পরিচালনার দাবি করা হয়েছে।
এসব হামলার মধ্যে তিনটি ছিল ইস্তেশহাদী হামলা, তবে বেশিরভাগ হামলাই চালানো হয়েছে স্নাইপার রাইফেল দ্বারা, এমনিভাবে টার্গেট ও ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের সংখ্যাও ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি।
অভিযানগুলিতে পাকিস্তানী মুরতাদ সেনাবাহিনীর ৪টি ভবন এবং ৩০ টি গাড়ি ধ্বংস করার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে গনিমত প্রাপ্ত অস্ত্রের সংখ্যাও ছিল যথেষ্ট পরিমাণ।
এসব হামলায় সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সামরিক বাহিনীর ৪১৯ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে। নিহত সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ২০০ এবং আহত সদস্য সংখ্যা ২১৯ জন। হতাহতের তৃতীয়াংশেরও বেশি সদস্যই হচ্ছে সেনাবাহিনী। এছাড়াও রয়েছে এফসি, পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মী।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের আগস্টে থেকে পাকিস্তানে টিটিপির হামলার পরিমাণ বেড়েছে যা ইনফোগ্রাফিক থেকেও স্পষ্ট। কেননা ঐমাস থেকে জামায়াতুল-আহরর এবং হিযবুল-আহরর সহ বেশ কয়েকটি দল টিটিপির সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। টিটিপির জোটে যুক্ত হওয়া দলগুলোর আগস্টের আগে পরিচালিত অপারেশনের পরিসংখ্যান এই ইনফোগ্রাফিতে যুক্ত করা হয়নি।