ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ এবং পরদিন রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ।
শুক্রবার রাত ৮টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আবদুর রব ইউসুফী বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আমি এই কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, ঢাকার বায়তুল মোকাররমে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর পুলিশ ও সরকারি দলীয় ক্যাডার বাহিনী হামলা করে পাঁচনজনকে শহীদ করেছে। অসংখ্য মুসল্লিকে আহত করেছে এবং গ্রেপ্তার করেছে।
এর প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মামনুল হক বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই দিনে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনী যেভাবে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর হামলা করেছে, তাতে স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক কুফরী পন্থায় হরতাল, মিছিল করে কোনদিনই আমাদের ভাইদের রক্তের বদলা আদায় করা যায় নি যাবেও না।
তাই ফিরে আসতে হবে কুরআনের বিধানে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡقِصَاصُ فِي ٱلۡقَتۡلَىۖ ٱلۡحُرُّ بِٱلۡحُرِّ وَٱلۡعَبۡدُ بِٱلۡعَبۡدِ وَٱلۡأُنثَىٰ بِٱلۡأُنثَىٰۚ فَمَنۡ عُفِيَ لَهُۥ مِنۡ أَخِيهِ شَيۡءٞ فَٱتِّبَاعُۢ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَأَدَآءٌ إِلَيۡهِ بِإِحۡسَٰنٖۗ ذَٰلِكَ تَخۡفِيفٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَرَحۡمَةٞۗ فَمَنِ ٱعۡتَدَىٰ بَعۡدَ ذَٰلِكَ فَلَهُۥ عَذَابٌ أَلِيمٞ ١٧٨ وَلَكُمۡ فِي ٱلۡقِصَاصِ حَيَوٰةٞ يَٰٓأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٧٩ ﴾ [البقرة: ١٧٨، ١٧٩]
‘হে মুমিনগণ, নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের উপর ‘কিসাস’ ফরয করা হয়েছে। স্বাধীনের বদলে স্বাধীন, দাসের বদলে দাস, নারীর বদলে নারী। তবে যাকে কিছুটা ক্ষমা করা হবে তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে, তাহলে সততার অনুসরণ করবে এবং সুন্দরভাবে তাকে আদায় করে দেবে। এটি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সহজীকরণ ও রহমত। সুতরাং এরপর যে সীমালঙ্ঘন করবে, তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আর হে বিবেকসম্পন্নগণ, কিসাসে রয়েছে তোমাদের জন্য জীবন, আশা করা যায় তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে।’ {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৭৮-১৭৯}
কোনো বৈধ কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা অপরাধের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ مِنۡ أَجۡلِ ذَٰلِكَ كَتَبۡنَا عَلَىٰ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ أَنَّهُۥ مَن قَتَلَ نَفۡسَۢا بِغَيۡرِ نَفۡسٍ أَوۡ فَسَادٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ ٱلنَّاسَ جَمِيعٗا وَمَنۡ أَحۡيَاهَا فَكَأَنَّمَآ أَحۡيَا ٱلنَّاسَ جَمِيعٗاۚ وَلَقَدۡ جَآءَتۡهُمۡ رُسُلُنَا بِٱلۡبَيِّنَٰتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرٗا مِّنۡهُم بَعۡدَ ذَٰلِكَ فِي ٱلۡأَرۡضِ لَمُسۡرِفُونَ ٣٢ ﴾ [المائدة: ٣٢]
‘এ কারণেই, আমি বনী ইসরাঈলের উপর এই হুকুম দিলাম যে, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল। আর অবশ্যই তাদের নিকট আমার রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও এরপর যমীনে তাদের অনেকে অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী।’ {সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৩২}
এছাড়া আল্লাহ তায়ালা যাদের উপর জুলুম করা হয় তাদের কিতালের অনুমতি দিয়েছেন।
. أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُوْنَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيْرٌ
(-হজ্জ ২২/৩৯)
তাই বর্তমানে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ও আওয়ামীগের সন্ত্রাসীরা যে জুলুম চালাচ্ছে তা থেকে মুক্তির একটাই পথ। তা হলো আল্লাহর বিধানে ফিরে আসা।
হরতাল পর্যন্ত যেনো সীমাবদ্ধ না থাকে।এর একটা সমাধান চায় হরতাল করে হাক ডাক করে যেনো শেষ না হয়
আমাদের কি সেখানে যুগ দেওয়া উচিত হবে?
তথাকথিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের প্রতি…
যতই করো মিছিল মিটিং
দাও যত হরতাল!
হোক সারা দেশ সমাবেশে
বিক্ষোবে উত্তাল!
কিংবা মানববন্ধন হোক
মিলে কাঁধে কাঁধ!
কিংবা স্মারকলিপি এবং
লংমার্চ প্রতিবাদ!
এ সব করে দ্বীনের কভু
হবে না তো জয়।
জিহাদ ছাড়া আর কিছুকেই
পায় না ওরা ভয়!
শাহবাগি সব নাস্তিকদের
ফাঁসির দাবি নিয়ে,
তোমরা যখন জড়ো হলে
মতিঝিলে গিয়ে,
তোমাদেরকেই মারলো তখন
ওদের দিলো ছেড়ে!
ছাড়া পেয়ে উল্টো ওরা
আরো গেলো বেড়ে!
কিন্তু যখন অল্প ক’জন
রাসূলপ্রেমী বীর,
কাটতে শুরু করে দিলো
নাস্তিকদের শির!
নাস্তিকদের সব উৎপাত
যায় থেমে ঠিক ঠিক!
দেশ ছেড়েও ভাগতে থাকে
সব গুলো নাস্তিক!
এবার বলো কোনটা বেশি
কার্যকরী হলো!
মিছিল মিটিং নাকি জিহাদ,
সত্যি করে বলো!
তবু কেন কুফ্ফারদের
শেখানো পথ ধরো!
জিহাদ ছেড়ে কেন বৃথা
মিছিল মিটিং করো!
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে
হয় না দ্বীনের জয়!
দ্বীনের বিজয় করতে হলে
রক্ত দিতে হয়!
ভয় ছেড়ে তাই এবার সবাই
অস্ত্র হাতে ধরো!
মিছিল মিটিং ছেড়ে আজই
জিহাদ শুরু করো!
ঠিক বলেছেন ভাই।
তালেবান থেকে শিক্ষা নে!
___________________
এই বাংলা হবে আফগান,
আর আমরা হবো তালেবান!
মুসলমানের দেশে রবে
আল-কুরআনের সংবিধান!
দেখ্ আমেরিকা আজ যাচ্ছে চলে
আফগানে তার নাইরে ঠাঁই।
বীর তালেবান মারছে ওদের
সামনে পেলে নাই রেহাই!
বীর তালেবান! হও আগুয়ান
ইসলাম আনো আফগানে।
বিশ্ববাসী দেখবে আবার,
শান্তি রবের বিধানে!
আমরাও দেখ্ জাগছি এবার
শংকা-ভীতি নাই মনে
মুসলমানের জয় হবে ভাই
রব বলেছেন কুরআনে!
অস্ত্র নিয়ে চলরে আবার
শাপলা চত্বর প্রাঙ্গণে
বেদ্বীন-কাফির হাসিনার রাজ
কাঁপবে তোদের গর্জনে!
বীর মুজাহিদ, উঠ ফেলে নিদ
চল্ ছুটে যাই ময়দানে!
মাজলুমানের ডাকটি আজও
পৌঁছে কি নাই তোর কানে!?
দেখ্ তাকিয়ে যুগের হুবাল
আমেরিকা মরে আফগানে!
ক্বিতালের পথ ধররে তোরাও
তালেবান থেকে শিক্ষা নে।
নয়রে কোন কল্পকথা,
নয়রে ছবির কাহিনী।
ইসলামী রাজ করতে কায়েম
আসছে রবের বাহিনী।
ডাকছে তোদের, জাগরে আবার
বলরে সবাই এক সুরে,
মুসলমানের দেশগুলো যেন
মুসলমানই পায় ফিরে।
“ আমি আবেগী হতে পারি, তবে নই বাস্তবতায় বিমুখ,
জানি কারাগার কেড়ে নিতে পারে মোর জীবনের সব সুখ।
জেনে *বুঝেই আমি বেছে নিয়েছি শত কষ্টের এই পথ,
যে পথ নিয়ে যাবে জান্নাতে, সে পথে অটল থাকার করেছি শপথ।”
আসসালামু আলাইকুম ভাইজান কাব্যটা ১০০% সত্যি। অনুমতি দিলে নাশিদ হিসেবে ইউটিউবে পেশ করতাম।
আপনাদের সাইটে প্রবেশ উন্মুক্ত নয় তো…..!!!
অনেক চেষ্টা তদবির করে ঢুকলাম