নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় কার্গো জাহাজটি।
জানা যায় জাহাজটি শেখ পরিবারের সদস্য সাংসদ শেখ তন্ময়ের মালিকানাধীন। কার্গোটির নাম এসকেএল-৩। এরপর বদলে ফেলা হয় কার্গোর রং। কার্গোটিকে জব্দ করা কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নোঙর করা অবস্থায় ওই কার্গো জাহাজটি আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় কার্গোর চালকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। প্রথম আলোর এক রিপোর্টে জানা যায় এমন তথ্য।
কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আশমাদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর কার্গো জাহাজটি দ্রুত মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় চলে যায়। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ঝড়। তবে ঝড়ের মধ্যেও কার্গোটি থামেনি। দ্রুত গতিতে পালাতে থাকে কার্গোটি। এরপর আটক ঠেকাতে কার্গোটির রং দ্রুততম সময়ের মধ্যে বদলে ফেলা হয়। বদলে ফেলা কার্গোটি গজারিয়ার কোস্টগার্ড স্টেশনের কাছাকাছি নোঙরও করে রাখা হয়। সেখান থেকেই ধরা খায় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩।
বর্তমান মাফিয়া সরকারের একটি রুপক চিত্রের মতোই যেন জাহাজের ঘটনাটি। জনগণের সম্পদ নষ্ট করে মুহুর্তেই রঙ পরিবর্তনের চেষ্টা। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান। ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ৩৪ জনের।
এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে কার্গো জাহাজের চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় মামলা করা হলেও মামলায় কার্গো জাহাজ, এর চালক বা মালিক; কারোই নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
ধাক্কা দেওয়া কার্গোটির নাম এমভি এসকেএল-৩, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর এম-০১-২৬৪৩। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাজটির মালিক বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসকে লজিস্টিকস।
তবে ঘটনার পর থেকে পুলিশ, লঞ্চ মালিক সমিতি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধাক্কা দেওয়া কার্গোটির নাম এমভি এসকেএল-৩, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর এম-০১-২৬৪৩। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাজটির মালিক বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসকে লজিস্টিকস।
