প্রহসনের লকডাউনে বাংলাদেশ, সাধারণ জনগণের প্রত্যাখ্যান

আজ ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা দিয়েছে মাফিয়া জালিম সরকার আওয়ামী লীগ। গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে এমনি জানিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা বর্তমান সরকারের প্রতিনিধি দল।
প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সাধারণভাবেই প্রহসনের এই কথিত লকডাউন প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ মানুষ। হাটবাজারে, লোকালয়ে মানুষের উপস্তিতি তাই প্রমাণ করে।

এই মাফিয়া সরকার ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ কথা বললেও এটা যে সর্বাত্মক লকডাউন নয় সরকারের গৃহিত সিদ্ধান্তেই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বলে মনে করছেন প্রায় সকল ঘরানার মানুষ। কঠোর লকডাউনের কথা বললেও শিল্প কারখানা, রেস্তোরাঁ, হোটেল খোলা রাখাই তার স্পষ্ট প্রমান বহন করে। এছাড়াও অনেক প্রখ্যাত আলেমে দ্বীনও কথিত এই লকডাউনের বিপক্ষে তাদের মতামত পেশ করেছেন। আর সাধারণ জনগণের লকডাউন প্রত্যাখ্যান তো স্পষ্টই। রাজধানীসহ দেশের সকল জায়গাতেই মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই তাদের দৈনন্দিন কাজ করে যাচ্ছেন। কেনাকাটা থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে আড্ডা কোন কিছুই বাদ নেই।

তবে জনগণের বিপক্ষে যাওয়া এই মাফিয়া সরকার পূর্বের মতো জনগণকে থ্রেট দিয়ে রেখেছে। আওয়ামী গোলাম বেনজির আহমেদ বরাবরের মতোই রাজনীতিবীদের মতো ভূমিকায় নেমেছে। ‘লকডাউনে’ কাউকে ঘরের বাহিরে দেখতে চায় না এমন অশোভনীয় কথা সাবলীলভাবেই বলে যাচ্ছে। আর জালিম এই শাসক কথায় কথায় স্বাধীনতার ফুলঝুরি ঝড়ালেও ঠুনকো অজুহাতে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে পরাধীনতার বেড়াজালে আবদ্ধ করার জোর প্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু জনগণ তা মানছে না। তাই জনগণের পক্ষে থাকা কন্ঠস্বর বন্ধ কর‍তে গুমের অপসংস্কৃতি চলমান রেখেছে এই মাফিয়া সরকার। তার অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হেফাজতে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গুম ও আটক করেছে মাফিয়া সরকারের গোলাম পুলিশ ও র‍্যাব। মানুষের মাঝে ভয় ছড়িয়ে দিতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলিমদের প্রতি ভালোবাসা মাফিয়া বাহিনীর সকল অপপ্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিচ্ছে।