আফগানিস্তানের ফারাহ প্রদেশে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে ২টি সফল অভিযান চালিয়েছেন তালিবান মুজাহিদিন। এতে ৫৫ এরও বেশি মুরতাদ সৈন্য হতাহতের শিকার হয়েছে। মুজাহিদগণ ২টি ঘাঁটি বিজয়সহ অনেক অস্ত্র গনিমত লাভ করেছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ মে রাত ৯ টায়, ফারাহ প্রদেশের রাজধানী দেহিক জেলার কৌশলগত ও গুরুত্বপূর্ণ শহরের প্রবেশপথে ভাড়াটে সেনাবাহিনীর মূল ঘাঁটি টার্গেট করে প্রথমে ভারী বিস্ফোরণ ঘটান তালিবান মুজাহিদিন। যার ফলে কাবুল বাহিনীর ঘাঁটির অনেকাংশই ধ্বংস হয়ে যায়।
এরপরে, অবশিষ্ট সৈন্যদের উপর একটি তীব্রমাত্রার অভিযান চালান মুজাহিদগণ। কাবুল বাহিনী প্রথমে কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও মুজাহিদদের কৌশলী হামলার সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি, ফলে মুজাহিদগণ ঘাঁটিটি দখল করে নেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই হামলায় ২১ পুতুল সেনা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়, যাদের মাঝে ৩ সেনা বোমার আঘাতে পুড়ে যায়। এছাড়াও মুজাহিদগণ আরো ৫ পুতুল সৈন্যকে বন্দী এবং প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেছেন।
একই জেলায় রাত ২ টার দিকে মুরতাদ বাহিনীর আরো একটি ঘাঁটির প্রধান প্রবেশদ্বারে শক্তিশালী বোমা হামলা চালান মুজাহিদগণ।
ফলস্বরূপ, মুরতাদ বাহিনীর সামরিক বেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, এরপরে মুজাহিদিনরা ঘাঁটিতে একটি ক্লিয়ারিং অপারেশন চালান।
এই অভিযানে মুজাহিদদের বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৮ পুতুল সেনা নিহত ও অপর ৩ সেনা আহত হয়। মজাহিদিনরা আহত অবস্থায় বন্দী করেন আরো ৮ সেনা সদস্যকে।
এছাড়াও মুজাহিদগণ গনিমত লাভ করেন ৯ টি অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩ টি ভারী মেশিনগান, ৪ টি রকেট লাঞ্চারসহ বিভিন্ন ধরণের অনেক গোলাবারুদ। আলহামদুলিল্লাহ্ অভিযানে কোন মুজাহিদই হতাহত হননি।
মাশাআল্লাহ
১) আল-কায়দার বাংলা ফোরাম “দাওয়াহ ইলল্লাহ”
লিংক- https://82.221.139.217/ অথবা https://dawahilallah.com/
২) গাজওয়াতুল হিন্দ (বাংলা)
লিংক- https://gazwah.net/ অথবা https://82.221.136.58/
৩) মুজাহিদদের সংবাদের ওয়েবসাইট “আল-ফিরদাউস” (বাংলা)
লিংক- https://alfirdaws.org/
৪) ইসলামি হিন্দ (বাংলা)
লিংক- https://islamihind.com/bn/
৫) ইসলামি হিন্দ (হিন্দি)
লিংক- https://islamihind.com/hi/
৬) ইসলামি হিন্দ (উর্দু)
লিংক- https://islamihind.com/ur/
৭) তালেবান মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (পাশতু)
লিংক- https://alemarahpashto.com/
৮) তালেবান মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (উর্দু)
লিংক- https://alemarahurdu.org/
৯) তালেবান মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
লিংক- https://alemarahenglish.net/
১০) তালেবান মুজাহিদদের ভিডিও-এর ওয়েবসাইট (পাশতু,আরবি,উর্দু,ইংরেজি)
লিংক- https://ieavideo.com/
১১) সিরিয়ায় হিজরতকৃত উইঘুর মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (উইঘুর,আরবি)
লিংক- https://muhsinlar.net/
১২) আল-কায়দার ওয়েবসাইট
লিংক- https://sahabmedia.co/
১৩) আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের ওয়েবসাইট (উর্দু,বাংলা)
লিংক- https://matboaatejihad.net/
১৪) ‘তেহেরিকে তালেবান পাকিস্তান’ মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (উর্দু)
লিংক- https://umarmedia.co/
১৫) বিভিন্ন মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (বিভিন্ন ভাষা)
লিংক- https://www.alizzaa.net/
১৬) আল আনসার মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (আরবি)
লিংক- https://alaansaar.com/
১৭) মালাহিম ইনফু (আরবি)
লিংক- https://malahim.info/
MasaAllah
আলহামদুলিল্লাহ। বিজয় অতিব সন্নিকটে ইনশাআল্লাহ
তালিবান এর ব্যাপারে অনেকে খারাপ মন্তব্য করছে।
ওরা নাকি জাতীয়তাবাদি।
ওদের বিরুদ্ধে দাওলা আজিবন লড়বে ইত্যাদি ।
আস সালামু আলাইকুম। মুহতারাম ভাই, এগুলো তালেবান মুজাহিদগণের বিরুদ্ধে বিষোদগার বৈ কিছু নয়। আর দাওলাহ বর্তমানে কুফ্ফারদের পরিবর্তে মুসলিম উম্মাহ ও মুজাহিদের লক্ষ্য বানিয়েছে। সুতরাং এধরনের প্রোপাগান্ডা থেকে বেঁচে থাকা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাজত করুন। আমীন।
একই সাথে সকলের সাথে লড়াই করা রসূল স. এবং খুলাফায়ে রাশিদীনের আদর্শ নয়। তাঁরা কারো সাথে যুদ্ধ করেছেন কারো সাথে চুক্তি করেছেন। তালিবান আমাদের আদর্শিক নেতা, কিন্তু একই সাথে তাদের সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সামর্থ্য এই মুহূর্তে নেই। প্রত্যেক ভূখণ্ডের মুসলিমদের দায়িত্ব আছে জিহাদের। সব দায়িত্ব তালিবানের নামে ছেড়ে দিলে হবে না। পাকিস্তানে জিহাদ হচ্ছে ভিন্ন নামে, কিন্তু তালিবানের আদর্শিক অনুসারীদের দ্বারা। আফগানের বাইরে কাজ করার জন্য মুল্লা উমার র. আল কায়েদাকে দায়িত্ব/ অনুমতি দিয়ে গিয়েছেন। সারা বিশ্বে এক নামে জিহাদের জন্য শক্তিশালী একক খিলাফত লাগবে। তার আগে কাফির ও তাদের দালাল মুসলিম নামধারী মুরতাদ শাসকদের থেকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেটা তালিবানের আদর্শে, আল কায়েদার নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশে হচ্ছে। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা ফরয। ইসলামী মুক্তিযুদ্ধ ফরয। কিন্তু বিশ্বব্যাপী একক খিলাফাহ সরকার প্রতিষ্ঠা করা সামর্থ্য অনুযায়ী ওয়াজিব। আগে ফরয আদায় করি, ওয়াজিব আদায়ের রাস্তা হয়ে যাবে। ইসলামে পোপতন্ত্র নাই। এখানে ধর্মের নেতা একমাত্র রসূল স.। উলামায়ে কেরাম (ও মাযহাবের ইমামগন) হলেন শিক্ষক ও ব্যাখ্যাকারী। তাদের মাধ্যমে আমরা রসূলের অনুসরণ করি। খলিফা ধর্মের নেতা না, রাষ্ট্রের নিয়ম শৃঙ্খলার নেতা। এটা দাবির বিষয় না। যার পুরা উম্মাহর শাসন কর্তৃত্ব অর্জিত হবে সে খলিফা হবে। বৈধ ভাবে হলে বৈধ খলীফা, অবৈধ ভাবে হলে অবৈধ খলীফা। নির্দিষ্ট জায়গায় ইসলামী শাসন কায়েম করলে স্থানীয় শাসক, খলীফা না। ইরাকের কিছু জায়গা দখলে পেয়ে দাবি করলেই খলীফা হওয়া যায় না।
সংক্ষিপ্ত জিহাদ পরিচিতি।
https://justpaste.it/3nset
দাওলা বা IS এর খারেজি হওয়ার কারন কি?
তাদের যে খারেজি বলা হয় সেটা কিসের ভিত্তিতে?
জানালে সংশয় নিরসন হত।
#জাযাকাল্লাহ।
খারেজী বলা হয়:
১, যারা ভুয়া দলীলের ভিত্তিতে মুসলিমদের (কোনো অংশ) কে কাফের বলে। এরা বিশ্বাস গত খারিজী। যা কর্মের দ্বারা প্রকাশ পায়।
২, যারা ন্যায় সংগত শাসকদের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যায়। এরা কর্মগত খারিজী।
দুটোই দাওলা গ্রুপে পাওয়া যায়। অথচ যে কোনো একটাই যথেষ্ট।
১. দাওলা গ্রুপ তাদের স্বঘোষিত খিলাফাহ না মানায় অন্য মুজাহিদদের কাফের বলেছে। অথচ সর্ব সম্মত খলীফাকে না মানলেও কেউ কাফির হয় না, বড় জোর বাগী/ বিদ্রোহী/ খারিজী হয়। আর ইখতিলাফী খলীফাকে না মানলে কিছুই হয় না। যেমন অনেক সাহাবী আলী রা. কে খলীফা মানেন নাই। তাদের কেউ নিরপেক্ষ ছিলেন, কেউ মুআবিয়া রা. এর পক্ষে ছিলেন। তারা কেউ খারিজী ছিলেন না। আলী রা. নিরপেক্ষ সাহাবীদের সাথে যুদ্ধ করেন নি। দাওলা গ্রুপ বিদআতী এবং তালিবান ও আল কায়দা সহ অনেক সুন্নী দলকে কাফির বলে। তাই তারা খারিজী।
২. উসমানীয় খিলাফতের পতনের পর মুল্লা উমার র. প্রথম পুর্ণ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। আর আল কায়েদা তার সকল শাখা সহ তার আনুগত্যের শপথ দেয়। দাওলা গ্রুপও ইরাক শাখা হিসেবে শপথ করেছিল। কিন্তু সিরিয়া নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ভাল না লাগায় বিদ্রোহ করে এবং নিজেদের উপরে তুলতে খিলাফতের ঘোষণা দেয়। প্রথমে মুজাহিদদের বিদ্রোহী পরে কাফির ঘোষণা করে। তালিবানের বৈধ নেতৃত্ব থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তারা খারিজী।
খারিজীদের আমল যেন ধোঁকায় না ফেলে (হাদীসের নির্দেশ।)
আমি যা তথ্য দিলাম gazwah.net থেকে যাচাই করতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত জিহাদ পরিচিতি
https://justpaste.it/3nset
(উত্তর দেখে জানালে খুশি হব।)
জাতীয়তাবাদের অভিযোগের ভিত্তি দুটি হতে পারে। ১. আফগান কেন্দ্রিক জিহাদের কথা বলা, আফগানের বাইরে লড়াই না করার দাবি করা। ২. আফগান সংস্কৃতিকে প্রশ্র দেয়া। ১ম আপত্তির মূল উত্তর আগের কমেন্টে দেওয়া হয়েছে। বাড়তি কথা, অনেকে ভাবতে পারেন আমি বৈশ্বিক ও ঐক্যবদ্ধ জিহাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তা নয়। ভিন্ন নামেও গুরুত্বপূর্ণ/ অভিন্ন শত্রুর মোকাবেলা করা সম্ভব। যেমন আমাদের এখানে আঞ্চলিক মূল শত্রু ভারত। তার পতনের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। তার পতন হলে অন্যদের পতন হবে। (কিন্তু পাকিস্তান আফগান যুদ্ধে আমেরিকার সহযোগী হওয়ায় সে ব্যতিক্রমী ভাবে অগ্রগামী শত্রু বলে গণ্য) ২য় আপত্তির উত্তর হল তালিবানরা আফগান সংস্কৃতিকে ততটুকুই প্রশ্রয় দেন ততটুকু ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আর এটা ইসলামে অনুমোদিত।
জি হজরত বিষয় টা ক্লিয়ার।
#জাযাকাল্লাহ।
তালিবান কি (আফগান) জাতীয়তাবাদী? আইএস কেন খারিজী?
https://82.221.139.217/showthread.php?23053
সংক্ষিপ্ত জিহাদ পরিচিতি
https://82.221.139.217/showthread.php?22227
https://justpaste.it/3nset