মাস্ক পরে জনসমক্ষে ধর্ষণ ও খুনের পলাতক আসামি বসুন্ধরার এমডি আনভীর

1
1381
মাস্ক পরে জনসমক্ষে ধর্ষণ ও খুনের পলাতক আসামি বসুন্ধরার এমডি আনভীর

দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর হঠাৎ করেই জনসমক্ষে এল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। শনিবার (২৯ মে) শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের (২০২১-২৪) নির্বাচন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করে।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকাধীন ‘কালের কণ্ঠ’ ও ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকা দুটিতে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে আনভীরকে ছাইরঙা টুপি, কালো সানগ্লাস, কালো মাস্ক, কালো টি-শার্ট ও গাঢ় নীল প্যান্ট পরিহিত বসা অবস্থায় দেখা যায়, যা খবরটির সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত আসামি সায়েম সোবহান আনভীর। ঘটনার পর সে দেশে আছে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছে, সেই বিষয়ে কোনো তথ্যই দিতে পারেনি আওয়ামী পেটুয়া বাহিনী। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের যাতায়াতের প্রমাণ তারা পেয়েছে। এ ঘটনায় আনভীরের কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমই পায়নি। অন্যদিকে আলোচিত এই মামলায় আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করে অনেকগুলো সামাজিক সংগঠন।

গত ২৬ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান। মামলার এজাহারে বাদী বলেন, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিরা। দুই বছর আগে মুনিরা ও আনভীরের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন। তাদের প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে আনভীরকে পাওয়া যাচ্ছে না, গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়। তিনি দেশ বা বিদেশে আছেন, সে বিষয়েও কেউ সঠিকভাবে অবগত নন।

উল্লেখ্য, আনভীরের সাথে বর্তমান সরকারের হাত থাকায় শুরু থেকেই সরকারী বাহিনী ও মিডিয়া তার পক্ষ নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

সূত্র:দৈনিক জাগরণ

১টি মন্তব্য

  1. * আনভির হবে না-কি তানভির হবে প্রিয় ভাই?

    বসুন্ধরা’র মধ্যে একটি রোড আছে, যার নাম হলো: ”সায়েম সোবহান তানভির রোড”

    বিভিন্ন পত্রিকায় একবার তার নাম “তানভির” আবার কখনও “আনভির” লিখা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসব খোলা থাকলেও শুধু স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধইমামকে পেটালেন আ’লীগ নেতা, হেফাজতের নেতা বানিয়ে মামলার হুমকি