সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল এনেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ৭ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনে ঘটা করে শপথ নেয় ভারতের নতুন ৪৩ জন মন্ত্রী। কিন্তু শনিবার (১০ জুলাই) মন্ত্রীদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। যেখানে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ মন্ত্রী কোটিপতি। আর ৪২ শতাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ।
প্রতিবেদন বলছে, একাধিক নবনির্বাচিত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে একের বেশি মামলা। নতুন মন্ত্রিসভার ৭৮ সদস্যের মধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন বারলা, নিশীথ প্রামাণিক-সহ চারজনের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ।
বাকি ৩৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা ও ডাকাতির মতো ভয়াবহ মামলা। অর্থাৎ দেশটির মোট মন্ত্রীর ৩১ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধের মামলা।
এডিআর-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে গুরুতর ৯টি মামলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আরেক সংসদ সদস্য নিশীথ প্রমাণিকের বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ১১টি মামলা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ। নির্বাচনের সময় অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই তথ্যগুলোর বেশিরভাগ সংগ্রহ করা হয়েছে মন্ত্রীদের দেওয়া বিভিন্ন হলফনামা থেকে।
এ তো গেল অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য। আর্থিক কেলেঙ্কারির দিক থেকেও রীতিমতো রেকর্ড গড়ল এবারের গেরুয়া শিবির।
এডিআর-এর রিপোর্ট বলছে, প্রধানমন্ত্রীর নতুন মন্ত্রিসভার প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ জন সদস্যই কোটিপতি। এর মধ্যে চার মন্ত্রীর সম্পত্তি ৫০ কোটি টাকারও বেশি। নতুন মন্ত্রিসভার মাত্র ৮ সদস্যের সম্পত্তি এক কোটি টাকার কম। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে দরিদ্রতম ত্রিপুরার প্রতিমা ভৌমিক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। বাংলা থেকে মন্ত্রী হওয়া জন বারলা দ্বিতীয় দরিদ্রতম মন্ত্রী। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ লক্ষ টাকা। সম্পদ কম থাকলেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ।
সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া