ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট ওর্থ এর কারাগারে এক বন্দির হঠাৎ আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত নিউরো সাইন্টিস্ট মুসলিম বোন আফিয়া সিদ্দিকি। আহত হবার পর তিনি মুসলিমদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
আমেরিকার কথিত ওয়ার অন টেরর এর আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে গড়ে তোলা এনজিও CAGE জানায়, আফিয়া সিদ্দিকির সেলে থাকা এক (কথিত) বন্দি তার উপর নির্যাতন চালাচ্ছে – এমন একাধিক রিপোর্ট CAGE এর কাছে আসে।
রিপোর্টগুলো থেকে জানা যায়, উক্ত বন্দি আফিয়া সিদ্দিকিকে অনেক দিন যাবত বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছে। এক পর্যায়ে সে মগভর্তি গরম কফি সরাসরি বোন আফিয়ার মুখে নিক্ষেপ করে। আক্রমণের তীব্রতায় অসহায় আফিয়া আত্মরক্ষা করতে গোল হয়ে শুয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। আক্রমণ করার পর তিনি দাঁড়াতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি হুইলচেয়ারে করে ক্রুসেডার কারারক্ষীরা তাকে অন্য একটি কুঠুরিতে নিয়ে যায়।
“গ্রে লেডি অফ বাগরাম” নামে পরিচিত বোন আফিয়া সিদ্দিকিকে পাকিস্তানের মুরতাদ সরকার ক্রুসেডার আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছিল, এরপর ক্রুসেডার আমেরিকা মুজাহিদীনদের সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয় আফিয়া সিদ্দিকিকে।
পাকিস্তানের করাচি থেকে তাকে অপহরণ করে আফগানিস্তানের বাগরাম কারাগারে দীর্ঘ ৫ বছর তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়। ২০০৮ সালে তাঁকে নিউইয়র্কের একটি গোপন কারাগারে নিয়ে আসা হয়। আফগানিস্তানে বন্দিত্বকালীন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁর উপর অমানবিক শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি তাঁর সাথে যেসব বন্দি থাকতেন তারা আফিয়ার আর্তনাদ সহ্য করতে না পেরে তাঁর মুক্তির জন্য অনশন করতেন।
আফিয়া সিদ্দিকীর আইনজীবি মারওয়া এলবিয়ালি এবছরের জানুয়ারির পর একাধিকবার তাঁর সাথে মুখোমুখি দেখা করেন। তিনি জানান, “আমার সাথে ডক্টর সিদ্দিকীর সম্প্রতি হওয়া সাক্ষাতে তার চোখের চারপাশে দৃশ্যমান পোড়া দাগ দেখে আমি আঁতকে উঠি। তার বাম চোখের কাছে প্রায় ৩ ইঞ্চি ক্ষত ছিল, ডান গালে একটি ক্ষতকে টুথপেস্ট ও ছোট এক টুকরো কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। তার ডান হাত ও দুই পায়ে অনেক কাটা-ছেঁড়া দেখা যাচ্ছিল। এতকিছুর পরও তাকে অন্য সব বন্দিদের মত কমলা রংয়ের জাম্প সুট পরিয়ে রাখা হয়েছে।”
আর আফিয়া সিদ্দিকী তার আইনজীবিকে বলেন, “আমি যে এখনো অন্ধ হয়ে যাইনি এটিই আল্লাহর এক কারামত”
সাংবাদিক ইভন রিডলি আফিয়া সিদ্দিকী সম্পর্কে বলেন, “এটি মারাত্মক অবিচার। আফগানিস্তানে তার সাথে অনেক অন্যায় করা হয়েছে, তার ব্যাপারে আমেরিকার কোনো এখতিয়ারই নেই। আফিয়া পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত নারী”
CAGE এর আউটরিচ ডিরেক্টর মোয়াযযাম বেগ জানান, “ওয়ার অন টেরর এর নোংরা ইতিহাসে আফিয়া সিদ্দিকির ব্যাপারটি সবচেয়ে জটিল।” “আফিয়া সিদ্দিকীর অধ্যায়ের এখানেই সমাপ্তি টানা উচিত। তাঁকে বাড়ি যেতে হবে এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গ দিতে হবে – যাদের তিনি কখনোই চোখের সামনে বড় হতে দেখেননি”
আল্লাহ তাঁর মুক্তি তরান্বিত করুন!
ইয়া আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন আমারা এখনো আমাদের এই বোনকে উদ্ধার বা এই বোনের প্রতিশোধ কিছুই করতে পারিনি।
ভাইরা একটু বলেন,শুনলাম আফিয়া সিদ্দীকা কে অরা অনেক আগেই শহীদ করে দিছে।
ভাইরা একটু বলেন,শুনলাম আফিয়া সিদ্দীকা কে অরা অনেক আগেই শহীদ করে দিছে।না এখনো জিবিত?
ভাই! আফিয়া সিদ্দীকা কে মালাউনরা শহিদ করে দিছে না এখনো জিবিত আছেন?
জি না ভাই তিনি জীবিত আছেন। পাকিস্তানের একটা পেইজ আছে মুভমেন্ট অব আফিয়া। আফিয়া সিদ্দিকর বোন ফাইয়াজ সিদ্দিীকি সেটার এ্যাডমিন। সেই পেইজে গেলে তার ব্যপারে সবকিছু জানতে পারবেন।