আফগানিস্তান থেকে ক্রুসেডার মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমা আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তালিবান বলছে, তারা নির্ধারিত সময়ের পর আমেরিকান বা অন্যান্য কোন বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তানে থাকতে দেবেন না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছে, আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি আগস্টের শেষ নাগাদ শেষ হবে এবং আশা করা হচ্ছে সেখানে মিশন বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানে সামরিক মিশনের সময় বাড়াতে বলবে।
এদিকে, তালিবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের একজন প্রাক্তন মুখপাত্র সোহেল শাহীন বিবিসিকে বলেছেন, তালিবানরা মার্কিন সামরিক মিশন ৩১ই আগস্টের পরে আর বাড়াতে দিবেন না।
তিনি বলেন বাইডেন বলেছিল যে, ৩১ই আগস্টের মধ্যেই তারা আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সমস্ত সৈন্য প্রত্যাহার করবে। এখন যদি মার্কিন সৈন্যরা সেই তারিখে না যায়, তাহলে ধরে নেওয়া হবে, মার্কিন প্রশাসন আফগানিস্তানের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
স্কাই নিউজের সাথে কথা বলার সময়, সোহেল শাহীন বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আফগানিস্তানে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো উচিত না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের উচ্ছেদ অভিযানের জন্যও অতিরিক্ত সময় চাওয়া উচিত হবে না। কারণ আমাদের পক্ষহতে এর উত্তর হবে ‘না’। অন্যথায়, এটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস হেপি আফগানিস্তান বিষয়ে তার সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেছে যে, যদি আমেরিকা এবং ব্রিটেন তালিবানের ইচ্ছার বিরোধিতা করে, তবে কাবুল যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে।
উল্লেখ্য যে, আফগানিস্তানের সমস্ত সামরিক ঘাঁটি থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী তাদের সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করেছে, বর্তমানে কেবল কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক হাজার বিনদেশী সেনা অবস্থান করছে। অপরদিকে তালিবানরাও বিমানবন্দরটিকে পুরোপুরি ঘিরে রেখেছেন। তারা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্যও প্রস্তুত।
এবার কি করবা বাচা!!!
ফাঁদে পড়লে এমনই হবে।