গত ২৪ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় প্রেস কনফারেন্সে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (হাফিযাহুল্লাহ)। বক্তব্য প্রদানকালে তিনি তুরস্কের সেনাদের কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “আফগানিস্তানে তুর্কি সেনাদের উপস্থিতির কোনোই প্রয়োজন নেই।”
“আমরা তুরস্কের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী, কিন্তু আফগানিস্তানে তাদের সেনাদের থাকার কোনোই প্রয়োজন নেই। কাবুল এয়ারপোর্ট সুরক্ষিত রাখতে আমরা নিজেরাই যথেষ্ট।”
তুরস্ক বিগত কয়েক বছর যাবত ক্রুসেডার আমেরিকার হয়ে কাবুলের হামিদ-কারযাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব ও আমেরিকার গোলাম মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এই বছরও সে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে আমেরিকার সাথে চুক্তি প্রায় সম্পাদন করেই ফেলেছিল সেক্যূলার দেশটি। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় তালিবান মুজাহিদিন কর্তৃক খুব দ্রুততার সাথে পুরো আফগান বিজয় তাদের সেই আশাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।
এরপরও একের পর এক ফন্দি বের করে ইমারতে ইসলামিয়াকে রাজি করানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক। এ সম্পর্কে দিন পাঁচেক আগে এরদোয়ান এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলে, “আফগানিস্তানে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি কাবুলের নব্য সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী করবে”।
তবে বরাবরের মতই ইমারতে ইসলামিয়ার মুজাহিদগণ অনড় অবস্থানেই থাকেন। ইমারতে ইসলামিয়া এর নেতাবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে একই কথা বলছেন: আফগানে কোনো বৈদেশিক শক্তি থাকতে পারবে না – হোক সে শক্তি আমেরিকান কিংবা তুর্কি।
আফগানিস্তানে সেক্যূলার তুর্কি সেনাদের অবস্থানের বিষয়ে তালিবানদের পক্ষহতে বলা হয় যে, তুর্কি সেনারা বিগত ২০ বছর ধরে আমাদের ভূমিতে দখলদার শক্তির হয়ে কাজ করেছে, তাই তাদেরকেও চুক্তি অনুযায়ী দখলদার বাহিনীর সাথেই নির্ধারিত সময় আফগানিস্তান ছাড়তে হবে।