আমেরিকা বহুবার উইঘুরদের উপর চলমান নির্যাতনের ব্যপারে চীনকে নিন্দা জানিয়েছে, আফগান নারীদের মতো তাদের জন্যেও মায়াকান্না কেঁদেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন উইঘুর শরণার্থীকে তাদের দেশে স্বীকৃতি দেয় নি তারা। যদিও কিছুদিন থেকে আমেরিকা প্রশাসন উইঘুরদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করছে, তবুও সেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উইঘুর শরণার্থীদের কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। বেশ কিছু উইঘুর চীন থেকে আশ্রয়ের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও আদতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে এখনও উদ্বাস্তুর মতো জীবন যাপন করছে।
এদিকে চীন উইঘুরদের ফেরত দিতে অন্যান্য দেশকে চাপ প্রয়োগ করছে। ইতোমধ্যে ২০১৫ সালে থাইল্যান্ড ১০০ জন উইঘুরকে ও ২০১৭ সালে মিশর ২০ জন উইঘুর শিক্ষার্থীকে চীনের কাছে ফেরত দেয়।
এদিকে তুরস্ক প্রায় হাজার খানেক উইঘুরের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। উইঘুরদের দাবি যে, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে কারণ তাদের নাগরিক পাসপোর্টের মেয়াদ হয় শেষ আর না হলে শেষের দিকে। আর তুরস্ক তাদেরকে নাগরিক অধিকার দিতেও খুব একটা ইচ্ছুক নয়।
২০২০ সালের ২৬ডিসেম্বর তুরস্ক এবং চাইনিজ সরকারের মাঝে একটি চুক্তি হয়, যার কারণে তুরস্ক থেকে উইঘুরদের চীনে ফেরত যাবার প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যায়। যার কারণে অনেক উইঘুররা এখন চিন্তিত এবং তারা এখন চাচ্ছে ইউরোপে পাড়ি জমাতে।
চীনের কমিউনিস্ট সরকার ১৯৪৯ সালে অবৈধভাবে উইঘুরদের জমি দখল করে। প্রায় ৭০ বছরের বেশি সময় থেকে তারা উইঘুরদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। উইঘুরদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। ২০১৭ সালে প্রায় ১০-২০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে তারা অবৈধভাবে কথিত ‘রিএজ্যুকেশন ক্যাম্পে’ আটক রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। সেখানে তাদেরকে জোর করে চাইনিজ মতাদর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য করছে।
আর এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে কথিত বিশ্ব সম্প্রদায় এবং মুসলিম নামধারি স্যেকুলার গাদ্দার শাসকেরা উইঘুর মুসলিমদের সাথে এমন প্রতারণার খেলাই খেলছে, ঠিক যেমনটা পাকিস্তান খেলে থাকে কাশ্মীরি মুসলিমদের নিয়ে।
তথ্যসূত্র:
========
১। U.S. did not accept a single Uyghur refugee in 2020-2021 even though it recognizes Uyghur Genocide
https://tinyurl.com/fdf3jwru
২. Turkey rejects citizenship applications of Uyghurs
https://tinyurl.com/56a6rb7f