পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সম্প্রতি একটি সফল অভিযান চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এই ঘটনায় দেশটির কমপক্ষে ১৬ সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে সাঁজোয়া যানসহ অনেক অস্ত্রশস্ত্র।
আঞ্চলিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬/১২/২০২১ তারিখ নাইজারে দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ সামরিক কাফেলায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে সামরিক বাহিনীর ৬ সদস্য নিহত এবং ১০ এরও বেশি সদস্য আহত হয়েছে।
সম্প্রতি ২:২৮ মিনিটের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে উক্ত হামলার বিবরণ প্রকাশ করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’।
বিবরণ অনুযায়ী, প্রতিরোধ যোদ্ধারা নাইজারের টোরোডি এলাকার কাছে উক্ত হামলাটি চালিয়েছেন। যাতে ১৬ সেনা ও পুলিশ সদস্য হতাহত হয়। এছাড়াও অভিযান শেষে মুজাহিদগণ প্রচুর পরিমাণ গনিমত অর্জন করেন। যার মধ্যে রয়েছে- ২টি যানবাহন, ২টি PK লাইট মেশিনগান, ৬টি AK রাইফেল, ২০টি PG-7V-প্যাটার্ন ওয়ারহেড এবং ২১টি বুস্টার চার্জ সহ ১টি RPG-7 লঞ্চার, ৪টি হ্যান্ডগান, ২৪টি AK ম্যাগাজিন, বাক্সযুক্ত ও বাক্সমুক্ত গোলাবারুদ ছাড়াও অনেক সামরিক সরঞ্জাম।
এভাবে একের পর ভূখণ্ডে পশ্চিমা দখলদার ও তাদের স্থানীয় দোসরদের অন্যায় আগ্রাসনের দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে যাচ্ছেন আল-কায়েদার বৈশ্বিক জিহাদ কনসেপ্ট অনুসারী মুজাহিদগণ। যাতে করে সকল অঞ্চল থেকে একযোগে পশ্চিমা নিপীড়ন আর বৈষম্যের বিশ্বব্যবস্থাকে সমূলে উৎখাৎ করা যায়।
ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই বলছেন, আফগানিস্তানের পর পূর্ব আফ্রিকা ও সাহেল অঞ্চলের মুসলিমরা দেখিয়ে দিচ্ছেন যে- পশ্চিমা ও তাদের দালালদেরকে বিতারিত করে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ নির্মাণের একমাত্র কার্যকর পথ হচ্ছে নববী মানহাজ অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা।