কেনিয়ায় হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি : আশ-শাবাবের হামলায় জেলা প্রশাসক সহ নিহত ৯ এরও বেশি ক্রুসেডার

আলী হাসনাত

0
1129
কেনিয়ায় হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি : আশ-শাবাবের হামলায় জেলা প্রশাসক সহ নিহত ৯ এরও বেশি ক্রুসেডার

সম্প্রতি সোমালিয়ার পার্শ্ববর্তী খ্রিস্টান প্রধান দেশ কেনিয়ায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব। প্রতিদিনই সেখানে নিহত হচ্ছে অসংখ্য খ্রিস্টান ক্রুসেডার সৈন্য।

আঞ্চলিক সূত্রমতে, ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সম্প্রতি নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ছাড়িয়ে সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে হামলার পরিধি বাড়িয়েছে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এসব হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে কেনিয়ার সেনাবাহিনী, সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা।

শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি রাতেও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্ররোধ যোদ্ধারা কেনিয়ার লামু অঞ্চলে হামলা চালিয়েছেন। যাতে অন্তত ৭ ক্রুসেডার নিহত হয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা লামু রাজ্যের উইন্ডো গ্রামে পরিকল্পিত এই হামলাটি চালিয়েছেন। যেখানে কেনিয়ার ক্রুসেডারদের এক চেয়ারম্যান সহ ছয়জন কেনিয়ান কাফেরকে হত্যা করেছে আশ-শাবাব।

একই রাতে আশ-শাবাবের প্রতিরোধ যোদ্ধারা উইন্ডো জেলা প্রশাসকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সাথে কেনিয়ার ক্রুসেডার বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালালে সেখানে উভয় বাহিনীর মধ্যে ভারী লড়াই শুরু হয়। সংঘর্ষ ঘাঁটির ভিতরে হওয়ায় হতাহতের বিস্তারিত কোন তথ্য জানা যায় নি।

তবে এসময় আশ-শাবাবের বীর মুজাহিদরা কেনিয়া পুলিশ বাহিনীর একটি ট্রাক, ২টি গাড়ি, ২টি মোটরসাইকেল এবং একটি খাবারের গোডাউন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সাথে বর্তমানে রাজ্যটির এমপেকেটোনি জেলায় আশ-শাবাব ও কেনিয়ান বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ৫ জানুয়ারি ভোর হতেই লামু রাজ্যের হিন্দি এলকায় ক্রুসেডারদের লক্ষ্য করে মারাত্মক হামলা চালাতে শুরু করেছে আশ-শাবাব। এদিন দুপুর নাগাদ পাওয়া তথ্যমতে, আশ-শাবাবের হামলায় অন্তত ২ ক্রুসেডার নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছে আরও অসংখ্য।

দেশটির ন্যাশনাল আর্মি এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, হিন্দিতে আশ-শাবাব যোদ্ধারা কেনিয়ার খ্রিস্টানদের যোদ্ধাদের হত্যা করেছে। সেই সাথে লামুতে হামলা ২০২২ সালের জানুয়ারির শুরু থেকেই তাঁরা হামলা তীব্রতর করেছে।

উল্লেখ্য যে, ২০১১ সাল থেকে কেনিয়ার সামরিক বাহিনী সোমালিয়ায় আশ-শাবাবের অগ্রগতি রুখতে আক্রমণ শুরু করেছিল। এরপর থেকেই কেনিয়ায় আশ-শাবাবের হামলা বেড়েই চলেছে। যা সম্প্রতি পূর্বের যেকোন সময়কেই ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসলামি চিন্তাবীদরা তাই আশা প্রকাশ করে বলছেন যে, শত বছর ধরে খ্রিস্টান মিশনারিরা ছলে-বলে জেসব এলাকাকে খ্রিস্টান প্রধান বানিয়েছে, মুজাহিদরা আবার সেসব এলাকা বিজয় করে মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদের নিকট ফিরিয়ে আনবে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুসলিমদের গণহত্যার ডাকের পর এবার ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে নরসিংয়ানন্দের কুৎসিত মন্তব্য
পরবর্তী নিবন্ধপাক-তালিবানের দুর্দান্ত অভিযানে ১৬ এরও বেশি গাদ্দার সেনা নিহত