তেলেঙ্গানায় আসামের মুখ্যমন্ত্রীর ইতিহাস থেকে মুসলিমদের মুছে ফেলার আহ্বান

মাহমুদ উল্লাহ্‌

0
955
ভারতে ইসলাম ও মুসলিমদের ব্যাপারে হিন্দুত্ববাদীদের যুগ যুগ ধরে লালিত বিদ্বেষ প্রকাশিত হচ্ছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী বিভিন্ন মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছে বহুবার। তবে তার এবারের ঘোষণা আগের যেকোন বারের চেয়ে একটু বেশিই উগ্র। সে বলেছে, শিগগিরই নিজাম ও ওয়াইসির নাম মুছে ফেলা হবে।

তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গালে এক সমাবেশে ভাষণে উগ্র হিন্দু নেতা হেমন্ত বলেছে, “আমাদের একটি নতুন ভারত গড়তে হবে, যেখানে কোনও ওয়াইসি, আওরঙ্গজেব, বাবরের জন্য কোনও স্থান থাকবে না এবং যেখানে কেউ নিজামের ইতিহাস পড়বে না এবং যদি কেউ ইতিহাস পড়ে তবে সে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ইতিহাস পড়বে।”

মুসলিমদের ইতিহাস মুছে নতুন ভারত গড়ার আহ্বান জানিয়ে সে মুলত মুসলিম গণহত্যার আগুনে ঘি ঢালছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া সে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ এবং ভারত-দখলকৃত কাশ্মীরের বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদা বাতিলেরও প্রশংসা করেছে। এ

মুসলিমদের গাফলতের সুযোগ নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের মুসলিদের অবদান সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যেন পরর্বতী প্রজম্ম জানতেই না পারে যে, এই ভারতে এক সময় মুসলিমদের রাজত্ব্য ছিল। ইসলামি শাসন ব্যবস্থাই এই অন্ধকারাচ্ছন্ন ভারতকে সভ্যতা ও ন্যায়নীতির শিক্ষা দিয়েছিল।

আর হিন্দুত্ববাদীরা এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখছে যেখানে কোন মুসলিম থাকবে না। মুসলিমদের অবদান মুছে ফেলতে ইসলামিক নাম পরিবর্তন করে হিন্দুয়ানী নামকরণ করা হচ্ছে। শিক্ষা সিলেবাসে মুসলিম ব্যক্তিদের লুটেরা, সন্ত্রাস হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ভারত হবে তাদের কল্পিত হিন্দু রাষ্ট্র, যার কথা তারা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করছে।

তবে হিন্দুত্ববাদীরা যাই বলুক বা করুক, বিজয়ের শেষ হাসি মুসলিমরাই হাসবেন বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ। কিন্তু এর জন্যে নববী মানহাজের অনুসরণ করে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন মোকাবেলায় প্রস্তুতির কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তাঁরা।

তথ্যসূত্র:
—–
১। Names of Nizam and Owaisi will be eliminated: Assam CM Himanta Biswa’s hate speech in Telangana
https://tinyurl.com/2xh7ncnu
https://tinyurl.com/yysp7erh

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস নিউজ বুলেটিন || জানুয়ারি ১ম সপ্তাহ, ২০২২ঈসায়ী
পরবর্তী নিবন্ধকাশ্মীর-যুদ্ধ : এক বিশ্বাসঘাতকতার লড়াই