রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে দখলদারিত্ব বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছে ইসরাইল

ইউসুফ আল-হাসান

0
1313
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে দখলদারিত্ব বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছে ইসরাইল

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেন দীর্ঘ অপেক্ষার সুযোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইলের জন্য। মুসলিম ভূমি দখলকারী ইহুদিরা এই যুদ্ধকেও নিজেদের দখলদারিত্ব বৃদ্ধি করার সুযোগ বানিয়ে নিয়েছে। যুদ্ধ থেকে পলায়নপর ইউক্রেনিয় ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ১ হাজার স্থাপনা নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি দৈনিক জেরুজালেমে পোস্টের মাধ্যমে জানা যায় এ তথ্য।

বিশ্বব্যাপী জায়নবাদী ইহুদি সংস্থার সেটেলমেন্ট ডিভিশন ইউক্রেন থেকে নিয়ে আসা ইহুদিদের স্থায়ী নাগরিকত্ব দিয়ে দখলদার ইসরাইলে আশ্রয় দিতে যাচ্ছে। তবে এসব ইহুদিদের পূর্বে দখলকৃত অঞ্চলে না নিয়ে পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে স্থায়ী করতে চাচ্ছে। এর মাধ্যমে ইহুদিরা পুরো আরব ভূখণ্ডে তাদের কথিত স্বপ্নের রাজ্য গ্রেটার ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।

ইতোমধ্যে জোরপূর্বক ৭ লাখ ইহুদি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণ করেছে। ধাপে ধাপে পুরো পশ্চিম তীর দখল করতে একদিকে বর্বর ইহুদীরা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতন। অন্যদিকে নিয়মিতই পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউরোপ থেকে ইহুদিদের এনে অবৈধভাবে পশ্চিম তীরে বসতি গড়ে তুলছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যমে বলা হয়- ইতিমধ্যে অন্তত ৫ হাজার ইউক্রেনীয় ইহুদিকে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে স্থায়ী করার অপেক্ষায় রয়েছে ইসরাইল।
আর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষিতে ইসরাইলের অন্যতম দৈনিক পত্রিকা হারেৎজ জানায়, আনুমানিক ২ লাখ ইউক্রেনীয় ‘ইহুদি’ ফিলিস্তিনে অভিবাসন করার এবং তথাকথিত ‘প্রত্যাবর্তনের আইন’ এর অধীনে স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইল সবচেয়ে বেশি ইহুদি নিয়ে আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। গতবছর ইউক্রেন- রাশিয়া থেকে মোট ১১,৮২৪ ইহুদিকে নিয়ে আসে ইসরাইল। ঠিক একই সংখ্যার ইহুদি এর আগের বছরগুলোতেও নিয়ে আসা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে।

উল্লেখ যে, তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রুশ আগ্রাসনের বিরোধীতা করলেও, জায়নবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের কোন বিরোধিতা করছে না। উল্টো ইসরাইলের আগ্রাসনকে ইহুদিদের নিরাপত্তার অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়ে আসছে।

তবে, সাম্প্রতিক ঘটমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের কাল মুখোশ পুরোপুরি খুলে গেছে। এটা এখন স্পষ্ট যে, পুরো পশ্চিমা বিশ্ব কিংবা ইউরোপীয়রা কখনোই অসহায় ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উদ্ধার করতে আসবে না, আর কথিত জাতিসংঘও এসে মুসলিমদেরকে মসজিদ আল-আকসা পুনরুদ্ধার করে দিবে না।

এ অবস্থায় ফিলিস্তিন ও মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধারে মুসলিমদের নিজেদের অধিকার আদায় নিজেরাই করার জন্য বহুদিন ধরেই আহ্বান করে আসছেন উম্মাহ দরদি আলিমগণ।

তথ্যসূত্র:
======
1. To house Ukrainian Jews, WZO to build 1,000 illegal structures on Israeli-occupied Palestinian lands-
https://tinyurl.com/2p87bezs

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস সংবাদ সমগ্র || ফেব্রুয়ারি, ২০২২ঈসায়ী
পরবর্তী নিবন্ধভারতে ইতিমধ্যেই মুসলিমদের গণহত্যা শুরু হয়ে গেছে : গ্লোবাল সামিটে বিশেষজ্ঞরা