মুসলিম জাতির শত্রু ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে ‘শত্রু ভাবে না’ মোহাম্মাদ বিন সালমান

আব্দুল্লাহ বিন নজর

1
1861
মুসলিম জতির শত্রু ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে ‘শত্রু ভাবে না’ মোহাম্মাদ বিন সালমান

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ধীরে ধীরে আরবের পবিত্র ভূমিতে বিজাতিও অশ্লীল সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ইহুদিদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই সে ইস্রাঈল-এর সাথে সৌদি আরবের বিমান যোগাযোগ চালু করেছে। আর এখন সে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে যে, ইসরাইলকে সে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে না।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ‘দ্য আটলান্টিক’-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে এই কথা বলে এই সৌদি যুবরাজ।

বিন সালমানের ভাষায়, “আমরা ইসরাইলকে শত্রু হিসেবে দেখি না। আমরা তাদের সম্ভাব্য মিত্র হিসেবে বিবেচনা করি, যাদের সাথে আমরা একত্রে বিভিন্ন স্বার্থের সন্ধান করতে পারি।”

তবে বিষয়টিকে গা-সওয়া করতে সে রাজনৈতিক ভাষায় বলেছে যে, ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য আগে ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
কিন্তু এখানে সে এটা স্পষ্ট করেনি যে, ফিলিস্তিন ইস্যুর কেমন সমাধানের পক্ষে সে। আর তাছাড়া ট্রাম্পজামাতা ইহুদিবাদী জেরার্ড কুশনারের ফিলিস্তিনকে পূর্ণ বেদখলের কথিত ‘ডিল অফ দা সেঞ্চুরি’ নামক ধোঁকাবাজি চুক্তিরও সে পাড় সমর্থক বলেও মিডিয়ায় চাওর হয়।

আর এই এমবিএস-কে নিয়ে এটাও কথিত আছে যে, সে একজন ইহুদী নারীর সন্তান আর তাকে লালন-পালনকারী নারীও একজন ইহুদী। আর এজন্যই মুহাম্মদ বিন সালমান ইহুদীদের প্রতি এতো নমনিও ও বন্ধুসুলভ বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।

মোহাম্মদ বিন সালমানের নতুন এই বিবৃতিকে তাই ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক অবস্থানের স্পষ্ট পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বিন সালমানের এই অবস্থানকে কুরআন ও সুন্নাহর সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক বলে মত দিয়েছেন হক্কপন্থী উলামাগণ। যেখানে কুরআনুল কারিমে আল্লাহ্‌ তাআলা ইহুদি জাতিকে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছেন, সসেখানে বিন সালমান কিভাবে এই ঘোষণা উপেক্ষা করে ইসরায়েলের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের দিকে আগাচ্ছে – এমন প্রশ্নও রেখেছেন তাঁরা।

তথ্যসূত্র :
———
১। ইসরাইলকে আমরা শত্রু হিসেবে দেখি না : মোহাম্মদ বিন সালমান
https://tinyurl.com/3k7j4h6d

১টি মন্তব্য

  1. ইহুদিদের ফেরিওয়ালা এই শাসকগুষ্টি আমাদের দ্বিন এবং পবিত্র মক্কা মাদিনাকে ইহুদিদের নাপাক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কলুষিত করছে।আমাদের দ্বিনকে এবং পবিত্র মক্কা মদিনাকে পবিত্র রাখতে হলে এসব মুরতাদদের অপসারণ করে শরয়ী শাসক নিয়োগ দিতে হবে। আর এটার জন্য প্রয়োজনে জিহাদ করতে হবে। নাহলে কিয়ামতের দিন পবিত্র কাবা আমাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিচার দিবে। এটা বলে যে,হে আল্লাহ আমাকে ইহুদিদের নাপাক বেষ্টনীতে রাখা হয়েছিল কিন্তু আমাকে উদ্ধার করার জন্য কোন মুহাম্মাদ বিন কাসেম বা তারেক বিন যিয়াদ ছুটে আসেনি অথচ তারা আমার দিকে ফিরেই নামাজ আদায় করতো।হে আল্লাহ তুমি তাদের নামাজ কবুল করিও না।

Leave a Reply to উআয়না আবরার প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট || প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি
পরবর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ভারতীয় ১০ দখলদার সেনা আহত