ভারতীয় উপমহাদেশে যুগ যুগ ধরে লম্পট হিন্দুরা মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করছে, যার সঠিক সংখ্যা নিরুপন করাই ভার। মুসলিম নারীদের প্রতি তাদের কুদৃষ্টি নিক্ষেপের পাশাপাশি তারা মুসলিম পুরুষদেরকেও ধর্ষণ করে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য।
তবে এতদিন শুধু কাশ্মীর কিংবা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা মুসলিম যুবক ধর্ষণের কথা শোনা গেলেও, এখন তারা ৯০% মুসলিমের দেশ বাংলাদেশেও এই বিকৃত চর্চা শুরু করে দিয়েছে।
রংপুরের পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)হিন্দু স্বপন কুমার রায় একাধিক মুসলিম ব্যক্তিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের করেছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে ওই এসআইয়ের ভাড়া বাড়ি থেকে আরও একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে উপজেলার কলেজপাড়া সংলগ্ন ঐ হিন্দু এসআই’এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এসআই স্বপন রায়ের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়। ২০ দিন আগে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ডেলিভারির জন্য গ্রামের বাড়িতে গেছে। এই সুযোগে পীরগাছার কলেজ রোডে স্বর্ণব্যবসায়ী রিপন রায়ের ভাড়া বাড়িতে ঐ স্বপন রায় বিভিন্ন বয়সী পুরুষদের হুমকি দিয়ে আনত এবং তাদের ধর্ষণ করত। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ভ্যানচালকের স্ত্রী জানান, ‘আমার সহজ-সরল স্বামীকে ভাড়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তার সর্বনাশ করেছে পুলিশ স্বপন চন্দ্র। আমার স্বামী তার কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনোভাবেই সে ছাড় দেয় নাই। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
ওই ভ্যানচালকের ছেলে জানান, ‘পুলিশ আমার বৃদ্ধ বাবার ওপর যেভাবে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না। পুলিশ বলে সে যেন কোনোভাবেই পার না পায়। তাকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’
তবে শুক্রবার দুপুরে ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র। সে জানিয়েছে পীরগাছা সদর ইউনিয়নের শুকানপুকুর গ্রামের দুই ব্যক্তি মৌখিকভাবে উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে তাদের ধর্ষণ করেছে বলে প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে একজন ভ্যানচালক। তার বয়স ৫০। তাকে অসুস্থ অবস্থায় ভ্যানে করে রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। অন্যজন নৈশপ্রহরী। তার বয়স (৫৫)।
প্রিয় পাঠক খেয়াল করুন, কোন মিডিয়া কিন্তু ধর্ষণের শিকার ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করছে না, কারণ সে মুসলিম।
আর এই ঘটনার মতো হিন্দুত্ববাদী উগ্র হিন্দুদের যেকোনো উদ্ধত আচরণকে শুধু ঢেকে রখা হয় আর প্রশ্রয় দেওয়া হয়। সাধারণ হিন্দুরা নবীজি (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করলে আইডি হ্যাক হওয়ার গল্প শুনানো হয়। তারপর জনরোষ থেকে বাঁচাতে তাদেরকে পুলিশ হেফাজত কর নিয়ে যায়, যেন কয়েক দিন পরেই তারা জামিনে বের হয়ে যেতে পারে।
আর হিন্দু পুলিশের কুকর্ম ঢাকতে তাকে বড়জোর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, এর বেশি কিছুইনা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুলিশের বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার হার আশংকাজনক। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বিভিন্ন অপকর্মের।
কথিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনের খড়্গ চালানোর আগে পুলিশের ওপর চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। তারা বলেন, আগে পুলিশকে অপরাধমুক্তের চরিত্র অর্জন করতে হবে।
হিন্দুরা মুসলিম পুরুষকে ধর্ষণের মত অপরাধ করেও পাড় পেয়ে যাবে। আর আলেমরা নিজের বিবাহিত বউকে নিয়ে ঘুরতে গেলেও তাদেরকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত কর হবে।
এটাই হিন্দুত্ববাদীদের এদেশীয় দালালদের নোংরা চরিত্র। হিন্দুদের বেলায় সাত খুন মাফ। আর মুসলিরা অপরাধ না করেও জেলে বন্দি।
এথেকেই বুঝা যায় যে, এদেশে হিন্দুত্ববাদী ভারত ও তার দোসরদের প্রভাব কতোটা বেশি, আর সরকার ও প্রশাসন তাদের প্রতি কতটা নতজানু।
আর এখন তো পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, কোন সাধারণ হিন্দু বা কোন হিন্দু অফিসার কোন অপরাধ করলে যার কাছে বিচার চাইতে হবে, সেও দেখা যায় একজন হিন্দু। সরকার-প্রশাসন সর্বত্রই এদের দাপট আর প্রভাব।
আর এর পরেও কি না এই উগ্র হিন্দুদের মিডিয়া প্রচার করে ‘অসহায় সংখ্যালঘু’ হিসেবে। অথচ এই ৮% হিন্দুর ষড়যন্ত্র আর দাপটে এদেশের শতকরা ৯০% মুসলিমের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়েছে।
তাহলে এখন এই প্রশ্ন করাই যায়, যে, এদেশে প্রকৃত সংখ্যালঘু আসলে কারা.?
এমন পরিস্থিতির তুলনা কেবল হিন্দুত্ববাদী দখলদারিত্বে পিষ্ট কাশ্মীরের অবস্থার সাথেই হতে পারে বলে মনে করেন চিন্তাশীল উলামায়ে কেরাম ও বিশ্লেষকগণ। এই ভূখণ্ডকে কাশ্মীর বানানোর সকল আয়োজন হিন্দুত্ববাদীরা ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা মিলে সম্পন্ন করে ফেলেছে বলেও মনে করেন তাঁরা।
মুসলিমদেরকে তাই বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার ফিকির করতে বলেছেন হক্কপন্থী উলামায়ে কেরাম, নতুবা তাদের সামনে অপেক্ষা করছে এক রক্তলাল ভবিষ্যৎ।
লিখেছেন : আব্দুল্লাহ বিন নজর
তথ্যসূত্র:
——–
১। https://tinyurl.com/56c4uk62
২। https://tinyurl.com/45jfvpe8